কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের জন্মদিন আজ
কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের ৯৪তম জন্মবার্ষিকী আজ। প্রগতিশীল এ তরুণ কবি ১৯২৬ সালের ১৫ আগস্ট কলকাতার কালীঘাটের মহিমা হালদার স্ট্রিটে মামা বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম নিবারন ভট্টাচার্য। মা সুনীতি দেবী।
ভারতে জন্মগ্রহণ করলেও কবির পূর্ব পুরুষের নিবাস গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার আমতলী ইউনিয়নের উনশিয়া গ্রামে। বর্তমানে কবির পিতৃভিটায় তার নামে সরকারিভাবে একটি অডিটোরিয়াম ও লাইব্রেরি করা হয়েছে। কবির এ বাড়ি দেখার জন্য দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে দর্শনার্থীরা আসেন।
কবি সুকান্ত মাত্র সাত-আট বছর লেখালিখি করে অনন্য প্রতিভার স্বাক্ষর রাখেন। প্রগতিশীল মানসে দীক্ষিত এ কবি বাংলা সাহিত্যে মার্কসবাদী ভাবধারা ও বৃটিশ শোষণ-বিরোধী এবং সামপ্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লেখালিখি করেন। তিনি সাহিত্যচর্চায় স্বল্প সময়ে নানা বিষয়ে লিখে বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেন। কবি সুকান্তের প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে রয়েছে ছাড়পত্র, কবিতাসমগ্র, পূর্বাভাস, মিঠেকড়া, অভিযান, হরতাল, রাখাল, গীতিগুচ্ছ প্রভৃতি।
কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য তার কবিতায় বলেছেন, ‘শাবাশ বাংলাদেশ/ এ পৃথিবী অবাক তাকিয়ে রয়/জ্বলে পুড়ে মরে ছারখার / তবু মাথা নোয়াবার নয়’।
আরেক কবিতায় বলেন, ‘ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময় / পূর্ণিমা চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি’। কাব্য সাহিত্যে এমনই সব অমর কাব্যগাথা রচনা করে তিনি বাংলা সাহিত্যে অমর হয়ে আছেন।
ম্যালেরিয়া ও শ্বাসরোগে আক্রান্ত হয়ে কলকাতার একটি ক্লিনিকে ভর্তি হন কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য। এই হাসপাতালেই মাত্র ২১ বছর বয়সে কবি ১৯৪৭ সালের ১৩ মে মারা যান।
কবি মিন্টু রায় বলেন, বাংলা সাহিত্যে অসাধারণ অবদান রেখে গেছেন কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য। বছরে একটি মেলার আয়োজন করে কবি সুকান্তকে আগামী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা সম্ভব নয়। আমি চাইব জাতীয়ভাবে কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী যেন পালন করা হয়।