১১ আগস্ট ২০২০, ০০:১৫

ব্রিটেনে নিলামে উঠছে গান্ধীর চশমা

  © সংগৃহীত

নিলামে উঠতে চলেছে মহাত্মা গান্ধী ব্যবহৃত সোনালি রঙের গোল ফ্রেমের চশমাজোড়া। ব্রিটেনে ইতিমধ্যেই তার দাম উঠেছে ১০ থেকে ১৫ হাজার পাউন্ড। দক্ষিণ-পশ্চিম ইংল্যান্ডের হ্যানহ্যামের ইস্ট ব্রিস্টল অকশনস-এর মাধ্যমে রবিবার জানানো হয়েছে যে, সংস্থার লেটার বক্সে খামে মোড়া ঐতিহাসিক চশমাজোড়া জমা পড়ে।

সংস্থার নিলামকার অ্যান্ডি স্টো জানিয়েছেন, এ এক প্রবল ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার বলা যায়। বিক্রেতার মনে হয়েছিল যে চশমাজোড়া হয়ত কোন ক্রেতাকে উৎসাহিত করতে পারে। তবে তা না করলে, চশমাটি ফেলে দেওয়ার কথাও তিনি খামের সঙ্গে থাকা চিঠিতে জানিয়েছিলেন। তবে আমরা আনুমানিক দাম পাঠানোর পরে উনি নিশ্চয় চেয়ার থেকে পড়ে গিয়েছেন। বিষয়টি নিঃসন্দেহে জম্পেশ নিলামের গল্প, যা আমরা সকলেই কল্পনা করে থাকি।

গান্ধীর চশমার জন্য ইতিমধ্যে অনলাইনে ৬০০০ পাউন্ড পর্যন্ত দাম উঠেছে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত, এমনকি ভারত থেকেও গান্ধীর চশমাজোড়া সম্পর্কে প্রবল আগ্রহ দেখাচ্ছেন ক্রেতারা।

ঐতিহাসিক চশমাজোড়া যিনি নিলামে তুলেছেন, সেই বর্ষীয়ান ইংল্যান্ডবাসী জানিয়েছেন যে তাঁর কাকাকে তা উপহার দিয়েছিলেন গান্ধী স্বয়ং। তিনি বলেছেন, ১৯১০ থেকে ১৯৩০ পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্রিটিশ পেট্রোলিয়াম সংস্থায় কর্মরত তাঁর কাকার সূত্রে তা পরিবারের ব্যক্তিগত সংগ্রহে স্থান পায়। 

স্টো জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তির কাকা সেই সময় দক্ষিণ আফ্রিকায় চাকরিসূত্রে বহাল ছিলেন বলে প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। খোঁজ নিয়ে দেখা গিয়েছে, ১৯১০ বার ১৯২০ এর দশকের গোড়ায় নিয়মিত ভাবে চশমা ব্যবহার শুরু করেন গান্ধী। 

গোল্ড প্লেটেড ওই উইন্ডসর চশমাজোড়া তাঁর কাকার প্রতি ভালোবাসার কারণেই গান্ধী স্বয়ং উপহার দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন সেই ব্রিটিশ অধিবাসী। 

উল্লেখ্য, বহু অনুরাগী ও ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিকে নিজের জিনিস দান করার অভ্যাস ছিল গান্ধীর। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ভারতে ফেরার পরে এমনই গোল ফ্রেমের চশমাজোড়া তাঁর চেহারার বৈশিষ্ট হয়ে দাঁড়ায়।

সূত্র: হিন্দুস্থান টাইমস