মনমতো ফল না হলে শিক্ষার্থীরা ভুল পথ বেছে নেয়, এটা দুঃখজনক
ভারতীয় কৌতুক অভিনেতা ও জনপ্রিয় টেলিভিশন উপস্থাপক কপিল শর্মা বলেছেন, শিক্ষার্থীদের ফলাফল খারাপ হলে অনেক সময় তারা বিষণ্ণতায় ডুবে যায়। পরীক্ষার ফলাফল তাদের মনমতো না হলে অনেক শিক্ষার্থীই ভুল পথ বেছে নেয়। এটা খুবই দুঃখজনক।
সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যম পিঙ্ক ভিলায় দেয়া সাক্ষাৎকারে কপিল শর্মা এসব কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় অভিভাবকদেরকে সন্তানদের পাশে থাকতে হবে, বলতে হবে যে এটা শুধুই একটি পরীক্ষা। পরীক্ষা আবারও দেয়া যাবে, এখানেই পৃথিবীটা শেষ নয়’।
কপিল বলেন, আমার মনে হয় সবচেয়ে ভালো হয় কাছের কাউকে বিষণ্ণতার বিষয়টি খুলে বললে। সেটা পরিবার হোক বা প্রফেশনাল কেউ হোক, আবেগের কথাওগুলো চেপে না রেখে বলাটা জরুরি। আমি সৌভাগ্যবান যে গিন্নী আমার পাশে ছিলেন। আমি তাকে আমার মনের সব কষ্টের কথাগুলো বলেছিলাম, এমনকি বিয়ের আগেও বলতাম।
সুশান্তের আকস্মিক মৃত্যুর পরে বলিউডের স্বজন পোষণের পাশাপাশি যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে তা হলো মানসিক স্বাস্থ্য। একে একে তারকারা জানাচ্ছেন তাদের বিষণ্ণতায় ভোগা এবং তা কাটিয়ে ওঠার ঘটনাগুলো।
কপিল মনে করেন কেউ যদি বিষণ্ণতায় ভুগতে থাকে তাহলে তার মনের কথা কাউকে বলতে হবে, না হলে ভুল পথ বেছে নেয়ার সম্ভাবনা থাকে।
নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা জানিয়ে কপিল বলেন, ‘দশম শ্রেণিতে গণিতে অকৃতকার্য হয়েছিলাম। বাবাকে বলতে ভয় পাচ্ছিলাম, কিন্তু বলেছিলাম। বাবা আমাকে বুঝেছিলেন। গণিতে ফলাফল খারাপ হলেও অন্য বিষয়গুলোতে ভালো করেছিলাম।
তিনি বলেন, আর এখন, আমি যা করছি সফলভাবে করছি। যেই কাজ আমি করছি, তাতে তখনকার কোনো বিষয়ই আমার কাজে লাগছে না। জীবন একটা ভ্রমণ। সন্তানদের শেখাতে হবে এটা শুরু থেকেই। সন্তানদের সঙ্গে মন খুলে কথা বলতে হবে, কারণ জীবনে অনেক বাধা আসবে। পরীক্ষাই জীবনের সবকিছু নয়।