শহীদ ডা. মিলন দিবস আজ
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৭ নভেম্বর ২০১৯, ১২:০৮ AM , আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০১৯, ১২:০৮ AM
শহীদ ডা. মিলন দিবস আজ বুধবার। শহীদ ডা. মিলনের ২৯তম শাহাদাতবার্ষিকী। ১৯৯০ সালের এইদিনে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের উত্তাল সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এলাকায় স্বৈরশাসকের লেলিয়ে দেওয়া সন্ত্রাসীদের গুলিতে শহীদ হন বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের তৎকালীন যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষক ডা. মিলন। সেই থেকে প্রতিবছর শহীদ ডা. মিলন সংসদ ২৭ নভেম্বর শহীদ মিলন দিবস হিসেবে পালন করে আসছে।
এ উপলক্ষে আজ বুধবার বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক সংগঠন বিস্তারিত কমসূচি গ্রহণ করেছে। মঙ্গলবার শহীদ ডা. মিলন দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। দিবসটি উপলক্ষে সকাল ৮টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ চত্বরে শহীদ মিলনের সমাধিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শ্রদ্ধা নিবেদন করবে। এছাড়াও সেখানে আলোচনা সভা, ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ তার বাণী বলেছেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ডা. মিলন এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকচক্রের হাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের নৃশংস হত্যার মধ্য দিয়ে দেশে স্বৈরশাসনের উত্থান ঘটে। শহিদ ডা. মিলনের মতো আরো অনেকের আত্মত্যাগের বিনিময়ে ১৯৯০ সালে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা লাভ করে। দেশের প্রতিটি গণতন্ত্রকামী মানুষ এই বীর শহিদদের অবদান চিরদিন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে।
গণতন্ত্র ও উন্নয়ন একে অপরের পরিপূরক। টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রাকেও বেগবান করতে হবে। নতুন প্রজন্ম ডা. মিলনের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে দেশের উন্নয়ন ও গণতান্ত্রিক রীতিনীতির চর্চায় নিজেদেরকে নিয়োজিত করবে- এ প্রত্যাশা করি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেছেন, ডা. মিলন ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষক এবং বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের তৎকালীন যুগ্ম-মহাসচিব ছিলেন। ১৯৯০ সালের ২৭ নভেম্বর বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের একটি সভায় যোগ দিতে যাওয়ার সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় ঘাতকদের গুলিতে শহিদ হন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের এই সংগ্রামে যুবলীগ নেতা নূর হোসেন, নূরুল হুদা, বাবুল, ফাত্তাহ-সহ অগণিত গণতন্ত্রকামী মানুষের রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার রাজপথ। ডা. মিলনের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে তখনকার স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে নতুন গতি সঞ্চারিত হয়। অবশেষে স্বৈরশাসকের পদত্যাগের মধ্য দিয়ে দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়। তাঁদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয় ভোট ও ভাতের অধিকার। গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় তাদের অবদান জাতি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।
আওয়ামী লীগ যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি পালনের নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এই উপলক্ষে আজ সকাল ৮টায় আওয়ামী লীগ ঢাকা মেডিকেল কলেজ চত্বরে ডা. শামসুল আলম খান মিলনের সমাধিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন, ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতের কর্মসূচি পালন করবে। বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের (বিএমএ) কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, সকাল ৮টায় কালোব্যাজ ধারণ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ প্রাঙ্গণে শহীদ ডা. মিলনের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পন, সকাল সাড়ে ৮টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মোড়ে শহীদ ডা. মিলন স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পন এবং সকাল সাড়ে ৯টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ প্রাঙ্গণে মিলন চত্বরে আলোচনা সভা।