কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর জন্মবার্ষিকী পালিত
মোংলাসহ বাগেরহাটে তারুণ্য ও সংগ্রামের দীপ্ত প্রতীক কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ’র ৬৩তম জন্মবার্ষিকী নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে পালিত হচ্ছে। দিবসটি উপলক্ষে আজ সকালে কবির গ্রামের বাড়ী মিঠাখালীতে রুদ্র স্মৃতি সংসদের আয়োজনে একটি আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়। পরে শোভাযাত্রাটি কবির কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। সেখানে কবির রুহের মাগফিরত কামনা করে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
পরে কবি রুদ্রের বাড়ীতে জন্মবার্ষিকীর আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন রুদ্র স্মৃতি সংসদের সভাপতি, রুদ্রের ছোট ভাই সুমেল সারাফাত, স্থানীয় দৈনিক সুন্দরবন পত্রিকার সম্পাদক ও রুদ্রের বাল্যবন্ধু শেখ হেমায়েত হোসেন, মোংলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি শেখ নুর আলম। দুপুরে মোংলা সরকারি কলেজ ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটর আয়োজনে কলেজ মিলনায়তনে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিকেলে মিঠাখালী ফুটবল মাঠে প্রীতি ফুটবল এবং সন্ধ্যায় রুদ্র স্মৃতি সংসদ কার্যালয়ে স্মরণ সভার আয়োজন করেছে। স্মরণসভা শেষে রুদ্রের কবিতা আবৃত্তি ও রুদ্রের গান পরিবেশিত হবে।
সন্ধ্যায় বাগেরহাট জেলা প্রশাসন এসি লাহা মিলনায়তনে কবি রুদ্রের জন্মবার্ষিকীতে আয়োজন করেছে ‘ রুদ্র সন্ধ্যা- ভালো আছি ভালো থেকো।’
১৯৫৬ সালের ১৬ অক্টোবর রুদ্র জন্মগ্রহণ করেন। আর ১৯৯১ সালের ২১ জুন মাত্র ৩৫ বছর বয়সে তিনি মারা যান। মাত্র ৩৫ বছরের (১৯৫৬-১৯৯১) স্বল্পায়ু জীবনে তিনি সাতটি কাব্যগ্রন্থ ছাড়াও গল্প, কাব্যনাট্য এবং ‘ভালো আছি ভালো থেকো’ সহ অর্ধশতাধিক গান রচনা ও সুরারোপ করেছেন। পরবর্তীকালে এ গানটির জন্য তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি প্রদত্ত ১৯৯৭ সালের শ্রেষ্ঠ গীতিকারের (মরণোত্তর) সম্মাননা লাভ করেন।‘উপদ্রুত উপকূল’ ও ‘ফিরে চাই স্বর্নগ্রাম’ কাব্যগ্রন্থ দুটির জন্য ‘সংস্কৃতি সংসদ’ থেকে পরপর দু’বছর ‘মুনীর চৌধুরী সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ও জাতীয় কবিতা পরিষদ গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।