বঙ্গবন্ধুর নান্দনিক দিক হলো তিনি মানবিক ছিলেন
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষি মন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, 'বঙ্গবন্ধু কত যে দূরদর্শী ছিলেন এবং তার জীবনের যে নান্দনিক দিকগুলো সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখ্য বিষয়টি হলো তার মানবিক দিক। মানুষের কল্যাণ ও মঙ্গলের জন্য তার চিন্তা, মানুষের দুঃখ-দুর্দশা দূর করার জন্য তার চিন্তা, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য তার সংগ্রাম-আন্দোলন সবই তার ছিল। তিনি ছিলেন উদার মানবিক গুণসম্পন্ন।'
আজ বুধবার (২৮ আগস্ট) রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) মিলনায়তনে একটি স্বারক বক্তৃতা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
শোকের মাস আগস্ট স্মরণে 'বঙ্গবন্ধুর নান্দনিক ভাবনা' শীর্ষক স্মারক বক্তৃতা অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে ছাত্রলীগ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, 'বঙ্গবন্ধুর বয়স তখন ছিল ২৮ বছর। ২৮ বছর বয়সে যিনি যিনি পাকিস্তানের পক্ষে আন্দোলন করেছেন, মুসলিম লীগের মিছিল নিয়ে ট্রেনে করে সোহরাওয়ার্দীর সাথে কলকাতা থেকে দিল্লি গিয়েছেন, রাস্তায় রাস্তায় বক্তৃতা করেছেন, সেই বঙ্গবন্ধু মাত্র পাঁচ মাসের মাথায় তিনি স্পষ্ট বুঝতে পেরেছিলেন, যে পাকিস্তান হতে যাচ্ছে, পশ্চিম পাকিস্তান-পূর্ব পাকিস্তান, এক হাজার মাইলের ব্যবধানে, সেই দেশে বাংলার মুক্তি মিলবে না। পাকিস্তানি সামন্তবাদী শোষকরা শস্য-শ্যামলা এই দেশেকে শোষণ করে মরুভূমি পাকিস্তানকে সবুজ বানাবে। তাই তিনি ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এই জন্যই আমরা বলি, ছাত্রলীগের ইতিহাস এই দেশের স্বাধীনতার ইতিহাস।'
অনুষ্ঠানের স্মারক বক্তা বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান বঙ্গবন্ধুর জীবনের বিভিন্ন নান্দনিক বিষয় নিয়ে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। আতিউর রহমান বলেন, 'বঙ্গবন্ধু ছিলেন অসাধারণের মধ্যে একজন সাধারণ মানুষ। তিনি সক্রেটিস, রবীন্দ্রনাথের মতো নান্দনিক এক ব্যক্তিত্ব। তিনি তার রাজনীতি, সমাজ ও অর্থনীতিতে সত্য ও সুন্দরকে বেছে নিতেন। বঙ্গবন্ধু সারাজীবন প্রতিবাদ করে গেছেন শোষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে।'
তিনি বলেন, 'একজন মানুষকে সবচেয়ে সুন্দর মনে হয়, যখন তিনি স্বদেশের, স্বজাতির জন্য লড়াই করেন। যখন তিনি আপামর জনসাধারণের মুক্তির জন্য সংগ্রাম করেন। এ শুধু একজন মানুষের সৌন্দর্য বোধ নয়, একজন নেতার সৌন্দর্য বোধ নয়। আর বঙ্গবন্ধু সমগ্র মানবতার সৌন্দর্য প্রকাশ করেছেন। কারণ একজন মানুষের মধ্যেই কখনো কখনো সমগ্র মানবতার প্রতিচ্ছবি ফুটে ওঠে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইন সহ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় ও শাখার বিভিন্ন নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।