চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন ‘আলোর ফেরিওয়ালা’

স্ত্রীর কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন একুশে পদক প্রাপ্ত ‘আলোর ফেরিওয়ালা’ পলান সরকার। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

শনিবার সকালে বাউসার পূর্বপাড়ায় তার বাড়িতে একে একে সমাবেত হন পাঠক, বইপ্রেমী ও গ্রামবাসীরা। পলান সরকারের মরদেহ সকাল সাড়ে নয়টায় নেয়া হয় তার প্রতিষ্ঠিত বাউসা গ্রামের হারুন আর রশিদ দ্বিমুখী উচ্চবিদ্যালয় মাঠে। এখানে দূর-দূরান্ত থেকে শিক্ষক শিক্ষার্থী পাঠকেরা তাকে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন।

এ সময় জেলা প্রশাসন, পুলিশ সুপার ও অন্যান্য সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন তাকে শেষবারের মতো ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরে জেলা প্রশাসক আব্দুল কাদের, পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহসহ বিশিষ্টজনরা তার স্মৃতিচারণ করেন। পরে জানাযায় অংশ নেন গ্রামের সর্বস্তুরের মানুষ। সকাল ১০টায় জানাজার নামাজ শেষে তাকে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়। 

গতকাল শুক্রবারদুপুর ১২টার দিকে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের পূর্বপাড়া গ্রামের নিজ বাড়িতে তিনি মারা যান পলান সরকার। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৮ বছর। পলান সরকার বার্ধক্যজনিত রোগে শয্যাশায়ী ছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি ছয় ছেলে ও তিন মেয়ে রেখে গেছেন। গত বছরের ২১ ডিসেম্বর পলান সরকারের স্ত্রী রাহেলা বেগম (৮৫) মারা যান।


সর্বশেষ সংবাদ