কবির শ্রদ্ধা বাংলা একাডেমিতে, শহীদ মিনারে অনুমতি মেলেনি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১১:১৭ AM , আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১১:৩৬ AM
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নয়, সদ্যপ্রয়াত কবি আল মাহমুদের মরদেহ বাংলা একাডেমিতে নেওয়া হচ্ছে। সেখানে সকাল ১১টা ৪৫ মিনিট থেকে রাখা হবে কবির লাশ। এরপর ভক্তদের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে দুপুর সোয়া ১২টায় নেওয়া হবে জাতীয় প্রেস ক্লাবে। কবির সহকারী আবিদ আজম এসব তথ্য জানান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলা একাডেমির জনসংযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ বিভাগের পরিচালক অপরেশ কুমার ব্যানার্জীও। তিনি বলেন, কবির স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে একাডেমির নজরুল মঞ্চে রাখা হবে কবির মরদেহ।
এছাড়া পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী প্রথম জানাযা বাদ জোহর বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর ফটকে অনুষ্ঠিত হবে।দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে কবির সহকারী আবিদ বলেন, কবির মরদেহ শহীদ মিনারে নেওয়ার জন্য আমাদের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছিল। তবে অনুমোদন পাওয়া যায়নি।
শুক্রবার রাত ১১টা ০৫ মিনিটে ধানমণ্ডির ইবনে সিনা হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন কবি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। তিনি নিউমোনিয়াসহ বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। এর আগে গত ৯ ফেব্রুয়ারি রাতে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় কবিকে ইবনে সিনা হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। ওই দিন প্রথমে সিসিইউতে ও পরে আইসিইউতে নেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার তাকে ‘লাইফ সাপোর্ট’ দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, কবি আল মাহমুদ আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি। তিনি একাধারে কবি, ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক, ছোটগল্প লেখক, শিশুসাহিত্যিক এবং সাংবাদিক। বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়াংশে সক্রিয় থেকে তিনি আধুনিক বাংলা কবিতাকে নতুন আঙ্গিকে, চেতনায় ও বাক্ভঙ্গীতে বিশেষভাবে সমৃদ্ধ করেছেন।
তিনি ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সম্মুখ সমরে অংশ নিয়েছেন। তিনি সরকার বিরোধী দৈনিক গণকণ্ঠ (১৯৭২-১৯৭৪) পত্রিকা সম্পাদনা করেছেন। লোক লোকান্তর(১৯৬৩), কালের কলস (১৯৬৬), সোনালী কাবিন (১৯৬৬) ইত্যাদি মাহমুদের উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ।