শহীদ ডা. মিলন দিবস আজ
শহীদ ডা. মিলন দিবস আজ মঙ্গলবার। ১৯৯০ সালের এইদিনে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের উত্তাল সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এলাকায় স্বৈরশাসকের লেলিয়ে দেওয়া সন্ত্রাসীদের গুলিতে শহীদ হন বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের তৎকালীন যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষক ডা. শামসুল আলম খান মিলন। সেই থেকে প্রতিবছর শহীদ ডা. মিলন সংসদ ২৭ নভেম্বর শহীদ মিলন দিবস হিসেবে পালন করে আসছে।
শহীদ ডা. মিলনের ২৮তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক সংগঠন বিস্তারিত কমসূচি গ্রহণ করেছে। এদিকে, সোমবার শহীদ ডা. মিলন দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
দিবসটি উপলক্ষে মঙ্গলবার সকাল ৮টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ চত্বরে শহীদ মিলনের সমাধিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শ্রদ্ধা নিবেদন করবে। এছাড়াও সেখানে আলোচনা সভা, ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ তার বাণীতে বলেছেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ডা. মিলন এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকচক্রের হাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নৃশংস হত্যার মধ্য দিয়ে দেশে স্বৈরশাসনের উত্থান ঘটে। শহীদ ডা. মিলনের মতো আরো অনেকের আত্মত্যাগের বিনিময়ে ১৯৯০ সালে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা লাভ করে। দেশের প্রতিটি গণতন্ত্রকামী মানুষ এসব বীর শহিদদের অবদান চিরদিন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেছেন, বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের তৎকালীন যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষক ডা. মিলন ১৯৯০ সালের ২৭-এ নভেম্বর ঘাতকদের গুলিতে শহিদ হন। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের এই সংগ্রামে যুবলীগ নেতা নূর হোসেন, নূরুল হুদা, বাবুল, ফাত্তাহসহ অগণিত গণতন্ত্রকামী মানুষের রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা। অবশেষে স্বৈরশাসকের পদত্যাগের মধ্য দিয়ে দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়। তাঁদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয় ভোট ও ভাতের অধিকার।
আওয়ামী লীগ যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি পালনের নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এই উপলক্ষে মঙ্গলবার সকাল ৮টায় আওয়ামী লীগ ঢাকা মেডিকেল কলেজ চত্বরে ডা. শামসুল আলম খান মিলনের সমাধিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন, ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতের কর্মসূচি পালন করবে। দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এক বিবৃতিতে শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলন দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের জন্য দলের নেতাকর্মীসহ সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের প্রতি বিনীত আহ্বান জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ সকাল সাড়ে ৮টায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ চত্বরে ডা. শামসুল আলম খান মিলনের সমাধিতে ফাতেহা পাঠ, বিশেষ মোনাজাত ও শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করবে। বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি সকাল সাড়ে ৭টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজের সমাধিতে এবং সকাল সাড়ে ৮টায় ঢাবির টিএসসির স্মৃতিস্তম্ভে পূষ্পার্ঘ অর্পণ করবে।