অমর্ত্য সেনের নোবেলপ্রাপ্তিতে বাইসাইকেলের যে ভূমিকা ছিল!
বা্ইসাইকেল চালিয়ে বাংলার গ্রামাঞ্চলে ঘুরতেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। দেখতেন হত-দরিদ্র মানুষের জীবন। সেই অভিজ্ঞতা নিজের গবেষণাপত্রে তুলে ধরেছিলেন তিনি। মূলত ওই গবেষণার ভিত্তিতেই ১৯৯৮ সালে অর্থনীতিতে নোবেল পুরষ্কার পেয়েছেন অমর্ত্য সেন।
নোবেল কমিটি সেই সাইকেলের গল্প নতুন করে সামনে এনেছেন। গতকাল সোমবার (১৪ অক্টোবর) নোবেল প্রাইজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেয়া এক পোস্টে এ বিষয়টি সামনে আনা হয়।
সাইকেলে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের একটি ছবি দিয়ে ওই পোস্টে বলা হয়, অর্থনৈতিক বিজ্ঞানে বাইসাইকেল একটি সাধারণ হাতিয়ার নয়, তবে অমর্ত্য সেনের বাইসাইকেল তার গবেষণায় ভূমিকা পালন করেছিল।
আরও পড়ুন : অর্থনীতিতে নোবেল পেলেন যুক্তরাষ্ট্রের তিন নাগরিক
পোস্টে জানানো হয়, সমাজের দরিদ্যতম সদস্যদের নিজের গবেষণার বিষয়বস্তু বানিয়েছিলেন অমর্ত্য সেন। গবেষণার খাতিরে পুত্র সন্তান ও কন্যা সন্তানের বাহ্যিক পার্থক্য তুলে ধরার চেষ্টা করতেন তিনি। এর জন্য একজন সহকারী নিয়োগ করেছিলেন অমর্ত্য সেন। তার কাজ ছিল গ্রাম বাংলার কন্যা ও পুত্র সন্তানের ওজন পরিমাপ করে অমর্ত্য সেনকে সাহায্য করা। কিন্তু এতে প্রতিবন্ধকতাও ছিল। অনেক শিশু চাইতেন না ওজন পরিমাপ করতে। তারা কামড়ে-আঁচড়ে দিত অমর্ত্য সেনের নিয়োগ করা সেই সহকারীকে। পর্বটি শেষ হয়েছিল অমর্ত্য সেন সাইকেল চালিয়ে পশ্চিমবঙ্গের গ্রামাঞ্চলে, বাচ্চাদের ওজন করে।
আরও পড়ুন : ২০২৪ সালে নোবেল পুরস্কার পেলেন যারা, এক নজরে দেখে নিন
অমর্ত্য সেন ১৯৯৮ সালে সামাজিক পছন্দ, কল্যাণ পরিমাপ এবং দারিদ্র্য গবেষণার অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।
গতকাল সোমবার (১৪ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় বিকালে সুইডেনের স্টকহোম থেকে এ বছরের অর্থনীতিতে নোবেল বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হয়। এ বছর অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার জিতেছেন তিন মার্কিন অর্থনীতিবিদ। তারা হলেন ড্যারন অ্যাসেমোগ্লু, সাইমন জনসন এবং জেমস এ. রবিনসন। একটি দেশে কিভাবে প্রতিষ্ঠান গঠন করা হয় এবং সমৃদ্ধির ওপর তা কী প্রভাব ফেলে তা অধ্যয়নের জন্য সম্মানজনক এই পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন তারা।