১৩ নভেম্বর ২০১৮, ১১:৫৭

আজ হুমায়ুন আহমেদের ৭১তম জন্মদিন

হুমায়ুন আহমেদ  © সংগৃহীত

তাঁর প্রথম উপন্যাস নন্দিত নরকে। এই উপন্যাস দিয়েই বাংলা কথাসাহিত্যে নতুন ধারার সূচনা করেছিলেন তিনি। এরপর উপহার দিয়েছেন একের পর এক জনপ্রিয় উপন্যাস।  জন্ম দিয়েছেন হিমু, মিসির আলী, শুভ্র, বাকের ভাইসহ অসংখ্য কালজয়ী চরিত্র।  বলছি পাঠক নন্দিত কথাসাহিত্যিক, চলচ্চিত্র ও নাটক নির্মাতা হুমায়ুনের আহমেদের কথা। আজ মঙ্গলবার তাঁর ৭১তম জন্মবার্ষিকী।

এ উপলক্ষে লেখকের ভক্ত এবং বিভিন্ন সংগঠন পৃথক পৃথক কর্মসূচির আয়োজন করেছে।  বেসরকারি টেলিভিশন ‘চ্যানেল আই’ ‘হুমায়ূন মেলা’ আয়োজন করেছে। তেজগাঁওয়ে চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে এই মেলায় থাকবে নানা আয়োজন। প্রকাশনা সংস্থা অন্য প্রকাশের পক্ষ থেকে ‘হুমায়ূন আহমেদ পুরস্কার’ প্রদান করা হবে। জাতীয় জাদুঘরের আয়োজনে রয়েছে ‘হুমায়ূন আহমেদের সাহিত্য ও জীবন’ শীর্ষক স্মরণ অনুষ্ঠান। কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটায় এই অনুষ্ঠানে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন। 

হ‌ুমায়ূন আহমেদের জন্ম নেত্রকোনার কুতুবপুরে, ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর। বাবা ফয়জুর রহমান আহমেদ ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা। মায়ের নাম আয়েশা ফয়েজ। শিক্ষাজীবন শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। একপর্যায়ে অধ্যাপনা ছেড়ে পেশা হিসেবে লেখালেখিকে বেছে নেন। পরে চলচ্চিত্র নির্মাণেও যুক্ত হয়েছিলেন। 

হুমায়ূন আহমেদের প্রকাশিত উল্লেখযোগ্য বইয়ের মধ্যে রয়েছে ‘জ্যোৎস্না ও জননীর গল্প’, ‘মধ্যাহ্ন’, ‘কিশোর সমগ্র’, ‘হিমুর আছে জল’, ‘লীলাবতী’, ‘হরতন ইস্কাপন’, ‘হিমুর বাবার কথামালা’, ‘গল্প পঞ্চাশ’, ‘আমিও মিসির আলী’, ‘হিমু রিমান্ডে’, ‘মিসির আলীর চশমা’, ‘দিঘির জলে কার ছায়া গো’, ‘আজ হিমুর বিয়ে’, ‘লিলুয়া বাতাস’, ‘কিছু শৈশব’। নির্মিত চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে ‘শঙ্খনীল কারাগার’, ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’, ‘দুই দুয়ারী’, ‘চন্দ্রকথা’, ‘শ্যামল ছায়া’। সাহিত্যে অবদানের জন্য হুমায়ুন আহমেদ একুশে পদক, বাংলা একাডেমী পুরস্কার, লেখক শিবির পুরস্কার, মাইকেল মধুসূদন পদকসহ অসংখ্য সম্মাননা পেয়েছেন।

জনপ্রিয় এই কথাসাহিত্যিক কোলন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে ২০১২ সালের ১৯ জুলাই মৃত্যুবরণ  করেন।