২৫ অক্টোবর ২০১৮, ১৯:৫০

তিন জাতীয় অধ্যাপককে বুয়েটের সংবর্ধনা

  © টিডিসি ফটো

জাতীয় তিন অধ্যাপককে যৌথভাবে উষ্ণ সংবর্ধনা প্রদান করেছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) শিক্ষক সমিতি ও বুয়েট এলামনাই। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বুয়েট কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে এ উপলক্ষে জাতীয় অধ্যাপকবৃন্দের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি ‘আলোকের এই ঝর্ণাধারায়’ শিরোনামে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ কে এম মাসুদ। এতে  ‘আমাদের সময় : শিক্ষা, সংস্কৃতি ও সাম্প্রতিক ভাবনা’ শিরোনামে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক ও কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক ড. শামসুজ্জামান খান। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ আজিজুল হক, কবি মুহম্মদ নুরুল হুদা ও বুয়েটের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এম এইচ খান।

‘আমাদের সময় : শিক্ষা, সংস্কৃতি ও সাম্প্রতিক ভাবনা’ শীর্ষক প্রবন্ধে ড. শামসুজ্জামান খান বলেন, বর্তমান বিশ্বে নানা কারণে উগ্রবাদ ছড়াচ্ছে, মধ্যপ্রাচ্যের ধনী দেশগুলো এমনকি ইংল্যান্ড থেকেও তরুণ তরুণীরা আই এস আইসহ বিভিন্ন জঙ্গি গোষ্ঠীর সাথে যোগ দিচ্ছে, তারপরও আমরা এটা থেকে বাঁচতে পারবো কারণ আমাদের রয়েছে হাজার বছরের সংস্কৃতি ঐতিহ্য যা আমাদের শিক্ষা দেয় ভাববাদী, গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক সংস্কৃতির।

জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের জীবনী নিয়ে তার ছাত্র ঢাবি বাংলা বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ আজিজুল হক বলেন, মানুষের সেবা ও জাতীয় কল্যাণে অধ্যাপক আনিসুজ্জামান ছোট বেলা থেকেই রাজনীতিতে যোগ দিয়েছিলেন, এরপর থেকে তিনি ভাষা আন্দোলনসহ বাঙালীর মুক্তি আন্দোলনে রেখেছেন অবদান। জাতীর বিভিন্ন কাজে এখনও তিনি অবদান রেখে যাচ্ছেন।

জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম সম্পর্কে কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, রফিকুল ইসলাম একাধারে একজন জ্ঞান যোদ্ধা, ভাষা যোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা। আর এখন তিনি জাতির প্রয়োজনে একজন যুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। বাঙ্গালীর জাতী সত্তা ও স্বাধীন সত্তার গবেষণায় তিনি কাজী নজরুল ইসলামকে অনুসরণ করেছেন তাই তিনি সারাজীবন নজরুল গবেষণায় অবদান রেখেছেন।

জাতীয় অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরীকে নিয়ে বলতে গিয়ে বুয়েটের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এম এইচ খান বলেন, একজন প্রকৌশলী হিসেবে অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরীই প্রথম জাতীয় অধ্যাপক। তাঁকে শুধু অধ্যাপক হিসেবেই ব্যাখ্যা করলেই হবে না তিনি সবক্ষেত্রেই তার অবদান রেখে গেছেন। অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য রাখেন বুয়েট এলামনাই এর মহাসচিব ড. সাদিকুর ইসলাম ভূঁইয়া। পরে শিল্পী শামা রহমানের সংগীত পরিবেশনার মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ হয়।