২২ অক্টোবর ২০১৮, ১৯:৫৪

ফেসবুকে মৃত শিক্ষামন্ত্রী!

প্রথমে দেখেই ভড়কে যেতে পারেন যে কেউ। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ মৃত! হ্যাঁ, ফেসবুক এমনটাই বলছে। নুরুল ইসলাম নাহিদের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট অনুযায়ী তিনি মৃত। জীবিত থাকা সত্বেও শিক্ষামন্ত্রীর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট রিমেম্বারিং করে রেখেছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। তবে এটি শিক্ষামন্ত্রীর ভেরিফাইড অ্যাকাউন্ট  কিনা সে সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

রবিবার রাতে দেখা যায় ৫১ হাজারের বেশি ফলোয়ার থাকা শিক্ষামন্ত্রীর ফেসবুক অ্যাকাউন্টের উপর রিমেম্বারিং লিখে রাখা হয়েছে। সাধারণত কোন ব্যবহারকারী মারা গেলে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার পর ব্যবহারকারীর সেই অ্যাকাউন্ট রিমেম্বারিং করে দেয় ফেসবুক। এ ব্যাপারে শিক্ষামন্ত্রীর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রণালয়ের উপ-প্রধান তথ্য অফিসার আফরাজুর রহমান বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রী ফেসবুক ব্যবহার করেন। তবে যেই অ্যাকাউন্টটি রিমেম্বারিং করা হয়েছে সেটি তার অ্যাকাউন্ট কিনা তা এই মুহূর্তে বলতে পারছি না। আমি বিষয়টি চেক করে জানাচ্ছি’।

অ্যাকাউন্টটি ঘেঁটে দেখা গেছে, সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে বেশকিছু পোস্ট করা হয়েছে অ্যাকাউন্টে। এছাড়া প্রোফাইল ছবিসহ বিভিন্ন সময়ে পারিবারের সাথে তোলা ছবি পোস্ট করা হয়েছে অ্যাকাউন্টটিতে। সর্বশেষ ৫ অক্টোবর ওই অ্যাকাউন্টে শিক্ষক দিবসে শিক্ষকদের শুভেচ্ছা জানিয়ে একটি পোস্ট করা হয়।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ তানভির হাসান জোহা বলেন, ফেসবুকে লিগ্যাসি কন্ট্রাক্ট নামের একটি অপশন রয়েছে। সেখানে ব্যবহারকারী তার কাছের কাউকে অ্যাকাউন্টের লিগ্যাসি কন্ট্রাক্টর বানিয়ে রাখতে পারেন। ওই ব্যক্তি মারা গেলে তার অ্যাকাউন্ট বন্ধ কিংবা রিমেম্বারিং করে রাখার জন্য ওই লিগ্যাসি কন্ট্রাক্টর যোগাযোগ করতে পারেন। ওই ব্যক্তির যোগাযোগের পর ফেসবুক ওই অ্যাকাউন্টটি রিমেম্বারিং করে রাখে কিংবা বন্ধ করে দেয়। এক্ষেত্রে জীবিত ব্যক্তির লিগ্যাসি কন্ট্রাক্টর যদি জানান, ওই ব্যক্তি মারা গেছেন তবে ফেসবুক সেটা রিমেম্বারিং করে দিতে পারেন। শিক্ষামন্ত্রীর অ্যাকাউন্টে লিগ্যাসি কন্ট্রাক্টর যোগাযোগ করেছেন নাকি অন্য কোনো সমস্যা হয়েছে সেটি অ্যাকাউন্ট দেখলে বোঝা যাবে। এছাড়া ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্ট রিমেম্বারিং করে রাখার ক্ষেত্রে ফেসবুক নতুন কোনো পলিসি চালু করেছে কিনা সেটাও দেখতে হবে বলে জানান তিনি।