২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৯:৪৭

মানবিক মূল্যবোধের ভিত্তিতে নতুন সভ্যতা গড়তে হবে

নোবেলজয়ী প্রফেসর ড. মো. ইউনুস তরুন সমাজকে সহমর্মিতা ও মানবিক মূল্যবোধের উপর ভিত্তি করে একটি নতুন সভ্যতা গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন। ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে সামাজিক ব্যবসা, তরুণ সমাজ ও প্রযুক্তি বিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের এক অনুষ্ঠানের ভাষণে তিনি এই আহ্বান জানান। 

তিনি তরুণদের উদ্দেশ্যে সতর্কবানী উচ্চারণ করে বলেন, তরুনরা যদি লোভের উপর গড়ে ওঠা বর্তমান সভ্যতাকে বদলে ফেলতে না পারে তাহলে তারাই হবে পৃথিবীর সর্বশেষ প্রজন্ম।

ড. ইউনুস বলেন, সামাজিক ও পরিবেশগতভাবে আমরা এখন একটি ভয়ংকর বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে চলেছি। আমরা যদি এ পথেই চলতে থাকি তাহলে এই শতাব্দীর মধ্যেই আমরা নিজেদেরকে ধ্বংস করে ফেলবো। একটি নতুন সভ্যতা সৃষ্টির লক্ষ্যে আমাদেরকে অবশ্যই এ পথ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। মানবিক মূল্যবোধের ভিত্তিতে গড়ে তুলতে হবে একটি নতুন সভ্যতা। 

সামাজিক ব্যবসা, তরুণ সমাজ ও প্রযুক্তি বিষয়ক গ্লোবাল কমিটির উদ্যোগে জাতি সংঘ সদর দপ্তরে  এই অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের সহ-আয়োজক ছিল ফ্রান্স, লুক্সেমবার্গ, স্লোভেনিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মেক্সিকো সরকার।

প্রায় ৫০০ সরকারী নেতা, নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী, জাতি সংঘ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যের সমর্থক, ব্যবসায়ী নেতা, উদ্ভাবক, ব্যবসায়ী উদ্যোক্তা এবং তরুণ সমাজের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে মূল বক্তা হিসেবে যোগ দেন সামাজিক ও সংহতি অর্থনীতি এবং সামাজিক উদ্ভাবন বিষয়ক ফরাসী হাই কমিশনার ও আন্তর্জাতিক সামাজিক ও সংহতি অর্থনীতি পাইলট গ্রুপের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টোফার ইতিয়ের, সংযুক্ত আরব আমিরাতের যুব বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী শামা আল মারজুই, জাতি সংঘে লুক্সেমবার্গের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি মি. ক্রিশ্চিয়ান ব্রন, নোবেল লরিয়েট ও জাতি সংঘ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যের সমর্থক প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস, মেক্সিকো সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক ইস্যু বিষয়ক মহাপরিচালক মিস নরমা মুনগুইয়া, এবং জাতি সংঘ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যের সমর্থক ও ভয়েস অব লিবিয়ান উইমেন এর প্রতিষ্ঠাতা ড. আ-লা মুরাবিত।

প্রসঙ্গত,  এর আগে ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত জাতি সংঘের ৭১তম সাধারণ পরিষদ অধিবেশনে নোবেল লরিয়েট প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের একটি উক্তি সামাজিক ব্যবসা, তরুণ সমাজ ও প্রযুক্তি বিষয়কগ্লোবাল কমিটি সৃষ্টিতে প্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে। তিনি বলেছিলেন, “আমাদেরকে অবশ্যই ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহ নিশ্চিত করতে হবে। আর এটা করার সবচেয়ে কার্যকর উপায় হচ্ছে সামাজিক ব্যবসার পদ্ধতি, তরুণ সমাজের সৃষ্টিশীলতা এবং দ্রুত পরিবর্তনশীল ইতিবাচক প্রযুক্তির শক্তিকে কাজে লাগানো।”