২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১০:৩৩

মমতাময়ী মা শেখ হাসিনার জন্মদিন আজ

বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আজ জন্মদিন। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম যেমন হতো না- তেমনি শেখ হাসিনার জন্ম না হলে আধুনিক বাংলাদেশ বিশ্বের দরবারে মাথা তুলে উন্নয়নের রোল মডেল ডিজিটাল বাংলাদেশের খেতাব পেত না। ২৮ সেপ্টেম্বর ১৯৪৭ সালে টুঙ্গিপাড়া গ্রামে তাঁর জন্ম হয়। সময়টা ভারত ভাগের উত্তালে মাতোয়ারা। মূল্যবোধ, রাজনীতি, দর্শন, দেশ ধর্ম দুইভাগে বিভক্ত হয়ে নতুন জাতিসত্ত্বা তৈরি হচ্ছে।

শেখ হাসিনার জন্মের সময়ে তাঁর পিতা শেখ মুজিব খুবই ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কলকাতাতে ভারত ভাগের পরবর্তী রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে। দাঙ্গা প্রতিরোধ, রাজনীতি, আন্দোলন আর লেখাপড়া নিয়ে তিনি তখন  মহাব্যস্ত। তাই জন্মের পরেই পিতার স্নেহ পাননি শেখ হাসিনা। দাদা এবং দাদির প্রথম স্নেহ মমতা নিয়ে শেখ হাসিনার জন্ম। প্রিয় নাতনির নাম রাখেন দাদা- ‘হাসিনা’। মায়ের বুকের উম আর দাদা দাদির সাহচর্যে বেড়ে উঠতে থাকেন এখনকার সময়ের উন্নয়ন নেত্রী, মমতাময়ী মা শেখ হাসিনা।  আচমকা একদিন ‘হাসুমনি’র কপালে কোমল চুমু এঁকে দিয়ে সবাইকে অবাক করে দেন শেখ মুজিব। কাউকে না জানিয়ে খবর পেয়ে মেয়েকে দেখতে সব কাজ ফেলে ছুটে আসেন কলকাতা থেকে। পিতার সেই প্রথম চুমুতে ছিল দূর্নিবার শক্তি।

জাতির জনকের সাত রাজার ধন ফুটফুটে ‘হাসুমনি’ বহু ইতিহাসের উত্থান পতন, সংগ্রাম ও টানাপোড়েনের মধ্যদিয়ে হয়ে ওঠেন বিশ্ব বাঙালির প্রিয় নেত্রী উন্নয়ন কন্যা এবং বাঙালির আশা ভরসার  প্রতিচ্ছবি। প্রকৃতির অপার মমতার মাঝেই তার বেড়ে ওঠা এবং শিক্ষা জীবনের শুরু হয়। অবারিত মাঠ আর ছায়া সুনীবিড় গ্রামে ছোট ছোট পা ফেলে মহা জীবনের পথে পা বাড়ান শেখ হাসিনা। একসময়ে গ্রামের জীবন ছেড়ে আরও বিস্তৃত জীবনের শিক্ষা লাভের জন্যে ঢাকায় এসে ষ্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে নিজেকে তিলে তিলে গড়ে তোলেন। মা ফজিলাতুননেছা মুজিব তার জীবনে গভীর প্রভাব ফেলেন। মা নেওটা শেখ হাসিনা গভীর জীবনবোধ এবং উন্নত চরিত্রের আদর্শ মানুষ হয়ে ওঠার শিক্ষা লাভ করেন মায়ের কাছ থেকে। আর উচ্চশিক্ষার জন্যে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে শেখ হাসিনা ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। বাংলা যার মা, বাংলা যার প্রাণ-তিনি বাংলা বিভাগে পড়াশোনা করবেন এটাই তো স্বাভাবিক? বাঙালি এবং বাংলাদেশের প্রতি তার মমতা আরও সুগভীর হয় বাংলা বিভাগে পড়াশোনার কারণে। তিনি ঢাকায় স্কুল ও কলেজে লেখাপড়া করেছেন তাই তার বন্ধুর সংখ্যাও ছিল অনেক। সবার মাঝে তিনি ছিলেন  আনন্দের উপলক্ষ্য।  সাথে মার্জিত, পরিশীলিত এবং আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্বের কারণে খুব কম সময়ের মধ্যে তিনি সকলের প্রিয় হয়ে ওঠেন। সবাই তার সাথে আড্ডা দেয়ার জন্যে উদগ্রিব থাকতো। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে ভিন্ন মতের এবং রাজনীতির ছেলেমেয়েরাও শেখ হাসিনাকে অনেক পছন্দ করতো এবং ভালবাসতো তার প্রজ্ঞা আর মমতাময়ী হৃদয়ের কারণে। ছোট, বড়, ছাত্র, শিক্ষক- সবার সাথে ছিল তার সখ্যতা।

ছোটবেলা থেকে শেখ হাসিনা গভীর নেশায় আসক্ত ছিলেন। সেই নেশা বই পড়ার নেশা। রাজনীতির প্রজ্ঞা আর মানুষের জন্যে দেশের জন্যে নিজের জীবন উৎসর্গ করার মানসিকতা তৈরী হয় প্রচুর বই পড়ার মধ্য দিয়ে। মনে প্রাণে বাঙালি, ভদ্র মার্জিত হয়ে ওঠার পেছনে পারিবারিক শিক্ষার সাথে বই পড়ার নেশা আর বাবা মায়ের মূল্যবোধ এই সব গুণ নিয়ে ধীরে ধীরে আদর্শ মানুষ হয়ে ওঠেন শেখ হাসিনা। আর এখন এই বয়সে এসে আজও চির তরুণ। তাঁর তরুণ মনের সাথে বিস্তৃত অভিজ্ঞতা, পরমত সহিষ্ণুতা, সহনশীলতা, ধৈর্য্য আর দৃঢ়তার সাথে- সময় তাকে খাঁটি সোনায় পরিণত করেছে। বর্তমান আধুনিক বিশ্ব বাঙালির কাছে শেখ হাসিনা অমূল্য সম্পদ। পিতা যেমন তর্জনির গর্জনে ৭ কোটি বাঙালিকে জাগিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছিলেন তেমনি তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার উন্নয়ন দর্শনে বিশ্ব বাঙালি পৌচ্ছে যাচ্ছে উন্নত বিশ্বের কাতারে। সাবমেরিন থেকে মাটি, আর মাটি থেকে স্যাটেলাইট  সব জায়গায় বাংলাদেশের এখন অপ্রতিরোধ্য বিচরণ। অবাক বিষ্ময়ে বিশ্ব দেখছে এখন শেখ হাসিনার উন্নয়ন ম্যাজিক।

শুধু প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নয়, তিনি যখন বিরোধীদলের নেত্রী ছিলেন তখনও বিশ্ব দেখেছে তার অসীম তেজ এবং ক্ষিপ্রতা, আপোষহীনতা আর সংগ্রাম আন্দোলনের দূরদর্শীতা। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী হয়ে বারবার দায়িত্ব পালন কালে  তিনি যথেষ্ট সচেতন। ভালো মন্দ যে কোন ঘটনা ঘটুক শেখ হাসিনা জানতে পারলে যে কোন মূল্যে তার সুরাহা নিজেই বের করে  সমাধান না হওয়া পর্যন্তু মনিটরিং করেন। তার ধ্যান জ্ঞান হলো মানুষ আর দেশ। নিজ দেশ থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের আশ্রয়ের মাধ্যমে সারা বিশ্বের কাছে তিনি বিষ্ময়ে পরিণত হয়েছেন। আর বিডিআর বিদ্রোহ দমনের সময় তার অপরিসীম সাহস ও প্রজ্ঞা দেখেছে বিশ্ববাসী। রাষ্ট্র নায়কোচিত বক্তব্য, জ্ঞান, আন্তর্জাতিক মহলে প্রশংসিত হয়েছে বারবার। বাঙালি সাধারণ আটপৌরে নারী না হয়ে তিনি সারা বিশ্বের কাছে স্বমহিমায় উজ্জ্বল হয়েছেন আলো ছড়িয়েছেন সবার মাঝে।

বর্তমানে তাকে বাংলাদেশের অস্তিত্বের প্রতীক মনে করা হচ্ছে। বাংলা সংষ্কৃতি,  অসাম্প্রদায়িক মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধ জাতীর জনককে হত্যার মধ্য মুছে দিতে  বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধী বিশ্ব মহল সব সময়ই চেষ্টা করে আসছে। কিন্তু তার বিপরীতে শেখ হাসিনা একাই লড়ে যাচ্ছেন অকুতোভয় বীর সেনানীর মত।  একাত্তরের পরাজিত শক্তি আর স্বাধীনতা বিরোধীদের সাথে আঁতাত করে ভোগবাদী, ক্ষমতালিপ্সু ও সুবিধাবাদী মানবতা বিবর্জিত রাজনীতিবিদ,  শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবী, পেশাজীবী ও ব্যবসায়ী সমাজ। সেই সময়ে বাঙালিরা  ছিল লাঞ্ছিত, দুস্থ, অসহায়, নির্যাতিত, অপমানিত, নিপীড়িত। ধর্মের ধোঁয়া তুলো এই দেশের শত্রু পাকিস্তানের স্বৈরাচারি সামরিক শাসকরা মহা সংকটে ফেলে দিয়েছিল আমাদের।  সোনার বাংলা শ্মশানে পরিণত করে ব্যর্থ রাষ্ট্র ও জঙ্গী  এবং সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রের তকমা লাগিয়ে দেয় এই দেশের গায়ে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে সেই সব লোভী অসুরেরা প্রকারন্তরে নিজেদের পায়েই কুড়াল মারে। তাদের পরাজিত দর্শন প্রতিষ্ঠিত করতে পারেনি তারা। নরপশু মোশতাক,  জিয়া ও স্বৈরাচার এরশাদ বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার চেতনা আর  বাঙালিত্বকে মুছে ফেলতে আঘাত করেছে বারবার। উচ্ছিষ্ট ভোগী লোভীরা কেউ কেউ তলে তলে তাদেরই সমর্থন করে গিয়েছে। ক্যূ, পাল্টা ক্যূ, গুম ও হত্যার মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের অপচেষ্টা, গণতন্ত্র এবং রাজনীতিকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র বারবার ফিরে আসে। গণতন্ত্র, সুশাসন এবং মানবতাকে বারবার সেনাবাহিনীর উর্দি আর পায়ের তলায় নিষ্পেষিত করা হয়েছে। একদিকে গুটিকয় সুবিধাভোগী ধনী থেকে ধনী হচ্ছিল, আর অন্যদিকে ক্ষুধার্ত মানুষের হাহাকার ছড়িয়ে পড়ছিল চারিদিকে। অভাব অনটন আর নিষ্পেষণের যাঁতাকলে পিষ্ট মানুষের স্বাধীনতা খর্ব হয়েছিল।

বাঙালির ইতিহাসে কলঙ্কিত  সময় ছিল ১৯৭৫ থেকে ১৯৮১ দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি। নির্যাতন, নিষ্পেষন আর  দমন পীড়নে দিশেহারা বাঙালি মুক্তির পথ খোঁজে। সেই সময়ে ফেব্রুয়ারি মাসে আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। আর এই সম্মেলনে সর্ব সম্মতিক্রমে প্রবাসে অবস্থানরত শেখ হাসিনাকে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী নির্বাচিত করা হয়। ১৭ই মে শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে নতুন সময়ে প্রবেশ করে বাংলাদেশ। ওই দিন থেকেই পিতার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করতে জীবন বাজি রেখে পথচলা শুরু হয় তার। এরপর আশির দশক থেকে নব্বইয়ের দশক পর্যন্ত স্বৈরাচারি সরকারের নানামুখি নিষ্পেষণের শিকার হতে হয়েছে শেখ হাসিনাকে । নানা সংগ্রাম আর ঘাত প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে মৃত্যুকে হাতের মুঠোয় নিয়ে পিতার মতই ধীরে ধীরে আপোষহীন, সংগ্রামী দেশপ্রেমিক ও  মানবিক যোগ্যতায় আজ তিনি বিশ্বে অনন্য । দেশের সংকটে সবার কাছে তিনি আশা আকাংখা মূর্ত প্রতীক। তাঁর বিকল্প শুধুই তিনি। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত দেশ শাসলে তিনি অসামান্য দক্ষতার পরিচয় দেন। এই সময়ে অর্থনীতির সবগুলো সূচকে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। দারিদ্রতা দূরীকরণ, কর্ম সংস্থান তৈরী, কৃষি বিপ্লবের সাথ শিল্পায়নে অসামান্য সফলতা আসে। দিশ থেকে মঙ্গা দূর করিার অনন্য নজির স্থাপিত হয়। নারীর ক্ষমতায়নে গৃহীত বিভিন্ন কর্মসুচি এবং সন্তানের অভিভাবক হিসেবে সর্বক্ষেত্রে পিতার পাশাপাশি মায়ের নামের স্বীকৃতিও ছিল একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। কৃষি উন্নয়নের লক্ষ্যে কৃষকদের ঋণ প্রদান, কৃষি সামগ্রীর মূল্যহ্রাস এবং সহজ প্রাপ্যতাও ছিল বিরাট অবদান।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রথম সরকার মানুষের কাছে আস্থা এনে দিয়েছিল। পরবর্তীতে কিভাবে বিএনপি জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় আসে তা সবাই জানে। তারা পাঁচ বছর দেশ শাসনের নামে লুটপাট ও দুর্নীতি, জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাস সৃষ্টিতে ইতিহাস গড়ে তোলে এবং তারপরও ক্ষমতায় থাকার জন্য বিরোধীদলকে দমন করার হিংসাত্বক পন্থা অবলম্বন করে নির্বাচন কমিশনকে এক হাস্যকর দলীয়করনের দৃষ্টান্ত করে তোলে। এরপরের ইতিহাস আমরা সবাই জানি যে কীভাবে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে তত্ত্বাবাধায়ক সরকার গঠিত হয় এবং তারা দুই বছর দেশ শাসন করে। তারা শুধুমাত্র গণতন্ত্রকে অকার্যকর করে রাখে রাজনীতি ও রাজনৈতিক নেতাদের কারারুদ্ধ করে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা গ্রেপ্তার রিমান্ড ও নির্যাতন চালিয়েছে। দুর্ভাগ্যজনক হলো বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাও কারারুদ্ধ হন। নিঃসঙ্গ কারাগারে তার ওপর মানসিক নির্যাতন চালানো হয়। এমনকি কারাগারে স্লো পয়জনিং করে তাকে হত্যা করার অপচেষ্টাও চালানো হয়। কারাবন্দি অবস্থায় কোর্টে তার মামলা চলে, সেখানেও তিনি সাহসিকতার সঙ্গে মোকাবেলা করেন। তার বিরুদ্ধে সকল মিথ্যা মামলার অভিযোগের কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন তাকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেবার ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র চলছে। সে সময়ও তার পেছনে শুধুমাত্র দলীয় নেতাকর্মী নয়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারক বাহক সমগ্র দেশবাসী ঐক্যবদ্ধভাবে ছিলো। এর প্রমাণ  ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে। মানুষ তাকে বিপুলভাবে ভোট দিয়ে সংখ্যা গরিষ্ট দলের নেতা হিসেবে দেশ শাসনের অধিকার দেয়। ২০০৯ সালে দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়ে শেখ হাসিনা জাতিকে স্বপ্নদর্শী করে তোলার পাশাপাশি একুশ শতকের প্রযুক্তি উপযোগী হবার আহ্বান জানান। তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার সকল কর্মসুচি তৃনমূল থেকে শুরু করেন। দেশে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং তার সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ নির্বাচন করে তিনি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথকে উদার করে দিয়েছেন। এর পাশাপাশি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি ও কর্মসংস্থানের ব্যাপক উন্নয়নের মাধ্যমে দেশকে আজ মডেল হিসেবে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণে সমর্থ করে তোলেন। এছাড়া তার শাসনামলে নারীর ক্ষমতায়নও বিশ্বে এক বিশেষ উদাহরণ স্থাপন করেছে।

শেখ হাসিনার প্রতি তাকিয়ে আছে শুধুমাত্র বাংলাদেশ নয়, দক্ষিণ এশিয়া ও দরিদ্র অনুন্নত দেশের মানুষও। বর্তমান বিশ্বে যখন অর্থনৈতিক মন্দা চলছে, দেশে দেশে মূল্যবৃদ্ধি ও বেকার সমস্যা জটিল হচ্ছে তখন তিনি বাংলাদেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করেছেন। মানুষের জীবিকা নির্বাহে নূন্যতম উপায় সৃষ্টি করেছেন। শেখ হাসিনার কৃতিত্ব এখানেই। তার সাফল্যের চাবিকাঠি হচ্ছে তিনি গভীর আন্তরিক বলেই যে কোনও ভালো উদ্যোগকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করতে জানেন। বিশেষ করে কৃষি খাতের উন্নয়নে তাঁর কোন বিকল্প আজও আমরা দেখতে পাই না। জাতীয় অর্থনীতি আগের চেয়ে অনেক শক্তিশালী। দারিদ্রের হার অনেক কমে বর্তমানে  ৪০.২৪ ভাগে নেমে এসেছে। অনেক রকম সমস্যা আছে দেশে, সমস্যার মাত্রাও নানাবিধ তারপরও দেশের মানুষ ন্যূনতম শান্তি ও স্বস্তিতে জীবনযাপন করছে। এর প্রধান কারণ দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রন, ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি। আমাদের স্বীকার করতেই হবে শেখ হাসিনার শাসনামলে তার দৃষ্টি তৃণমূল থেকেই ওপরে উঠেছে। তিনি তরুনদের কাছে প্রযুক্তি ব্যবহারের অবাধ সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করেছেন। আর বিশ্ব ব্যাংকে উপেক্ষা করে নিজেদের অর্থে পদ্মা সেতু নির্মাণ সবশেষ মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট স্থাপন করে এখনকার তরুণ সমাজের কাছে আইকনে পরিণত হয়েছেন। বিদ্যুত উৎপাদনে অনন্য রেকর্ড তাঁর। রূপপুর নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট, মেট্টোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ে, সমুদ্র সীমা জয়, ঢাকা চট্টগ্রাম ফোর লেন এবং ফ্ল্যাইওভার এই সব নানমুখি উন্নয়ন প্রকল্প বদলে দিচ্ছে বাংলাদেশকে। শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের বাসোপযোগী করার উদ্যোগ নিয়েছেন যেখানে শিক্ষা স্বাস্থ্য কর্মসংস্থান ছাড়াও সৃজনশীল প্রতিভা বিকাশের বিরাট সম্ভাবনা থাকবে।

জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা শেখ হাসিনার কতটুকু তা জনগণ এখন খুব সহজেই বুঝতে পেরেছে। আর তাঁর মত জনদরদী ও মমতাময়ী নেত্রী ভবিষ্যতে আসবে কি না সেটা ইতিহাস সাক্ষ্য দেবে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মই মূল্যায়ণ করবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যোগ্য উত্তরসুরী হিসেবে শেখ হাসিনা তার সততা, আত্মত্যাগ, দূরদর্শীতা ও দেশপ্রেমের উজ্জ্বল স্বাক্ষর রেখেছেন- এটাই হচ্ছে তার সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব। তাই মমতাময়ী মা জননেত্রী শেখ হাসিনার শুভ জন্মদিনে অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে জানাই অফুরন্ত ভালবাসা। শুভ জন্মদিন মা। আপনি বেঁচে থাকুন হাজার বছর বিশ্ব বাঙালির কান্ডারি হয়ে!!