সাবেক ক্রিকেটার মোশাররফ রুবেলের মারা যাওয়ার খবরটি ভুয়া
বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার মোশাররফ রুবেল মারা গেছেন বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে গুজব ছড়িয়ে পড়েছে। গুজব ছড়ানো কয়েকটি পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে।
দীর্ঘ তিন বছর ধরে ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত জাতীয় দলের সাবেক এই ক্রিকেটার। বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে। ২০১৯ সালে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে পরিবার-পরিজন, বন্ধু-বান্ধব সকলের আপ্রাণ চেষ্টায় মুমূর্ষু অবস্থা থেকেও ফিরে এসেছেন তিনি।
জানা যায়, গত মাসের মাঝামাঝি সময়ে শারীরিক জটিলতা নিয়ে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন মোশাররফ রুবেল। এরপর চলতি মাসের শুরুর দিকে তার রক্তে সোডিয়ামের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি শুরু হয় ডিহাইড্রেশন। তার সঙ্গে কিডনির ক্রিয়েটিনিনের পরিমাণ বেড়ে গেলে শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। এসময় এক সপ্তাহ আইসিইউতে থাকার পর কেবিনে নেওয়া হয় তাকে। বর্তমানে ওই হাসপাতালের কেবিনে রয়েছেন তিনি।
এদিকে, আজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে তার মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়। তবে রুবেলের স্ত্রী ফারহানা রুপা চৈতি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এখন ভালো আছেন মোশাররফ রুবেল। বিকেলে তিনি জানান, ‘সে (মোশাররফ রুবেল) ভালো আছে। ভালোভাবে রেস্পন্স করছে।’
এসময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া গুজব বন্ধের অনুরোধ করে চৈতি আরও বলেন, ‘সে মারা যায়নি। দয়া করে গুজব রটনাকারীদের থামান। এসব গুজব ছড়াতে দেবেন না। সে ভালো আছে।’
এদিকে বিকেলে ৪টার দিকে একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, মোশাররফ রুবেল একটি নীল টিশার্ট গায়ে দিয়ে হাসপাতালের কেবিনে শুয়ে আছেন। এসময় তাকে হাতে ইশারা দিতে দেখা গেছে।
জানা যায়, রুবেলের শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় গত ১৪ মার্চ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয় তাকে। পরে শারীরিক অবস্থা ভালো হওয়ায় সাধারণ বেডে স্থানান্তর করা হয় তাকে। প্রায় একমাস ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন রুবেল।
২০১৯ সালে প্রথমবারের মতো ব্রেন টিউমার ধরা পড়ে রুবেলের। পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে যান ৩৯ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার। কিন্তু পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠেননি তিনি। দেশে নিয়মিত কেমো আর চিকিৎসা নিয়ে কিছুটা সুস্থ হলেও নতুন করে টিউমার ধরা পড়ে রুবেলের মস্তিষ্কে, যা এতটাই স্পর্শকাতর স্থানে রয়েছে তাতে শঙ্কায় পড়েছে জীবন।
দেশের হয়ে পাঁচটি এক দিনের ম্যাচ খেলা রুবেল জাতীয় দলে অনিয়মিত হয়ে পড়লেও ঘরোয়া ক্রিকেটে ছিলেন নিয়মিত মুখ। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে রয়েছে ১১২ ম্যাচে ৩৯২টি উইকেট। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ১০৪ ম্যাচে রয়েছে ১২০টি উইকেট। এ ছাড়া টি-টোয়েন্টিতে ৫৬ ম্যাচে নেন ৬০টি উইকেট।