‘দৈনন্দিন কার্যক্রমে সেফগার্ডিং সংক্রান্ত প্রতীক‚ লতা ও ঝুঁকি বাড়ছে’
উন্নয়নমূলক কর্মসূচিতে সেইফগার্ডিং কার্যক্রমে অধিক গুরুত্ব প্রদানের লক্ষ্যে উন্নয়ন খাতের পেশাজীবী ও নীতি-নির্ধারকদের নিয়ে গোলটেবিল বৈঠক করেছে ব্রিটিশ কাউন্সিল। সবার জন্য সুরক্ষা নিশ্চিতকরণে উদ্যোগী দাতা সংস্থাগুলোর বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক ‘ফান্ডার সেইফগার্ডিং কোলাবোরেটিভের (এফএসসি)’ অংশীদারিত্বে ব্রিটিশ কাউন্সিল অডিটোরিয়ামে এ বৈঠকের আয়োজন করা হয়।
এ আয়োজন নিয়ে ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর স্টিফেন ফোর্বস বলেছেন, ‘আমাদের দৈনন্দিন কার্যক্রমে ক্রমশই সেফগার্ডিং সংক্রান্ত প্রতীক‚ লতা এবং ঝুঁকি বাড়ছে। তাই আমাদের প্রয়োজন, সেফগার্ডিং নিয়ে আমাদের বোঝাপড়া এবং অভিজ্ঞতা বৃদ্ধি। সেই সঙ্গে জরুরি, সম্মিলিতভাবে সেফগার্ডিং সংক্রান্ত কার্যকরী পদক্ষেপ প্রতিষ্ঠা করা।’
সে লক্ষ্যেই ব্রিটিশ কাউন্সিল ফান্ডার সেইফগার্ডিং কোলাবোরেটিভের সাথে যৌথভাবে কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে যেন সেইফগার্ডিং-ক্ষেত্রে ইতোমধ্যে কর্মরত বিভিন্ন অংশীদারদের একত্রিত করা যায়। আমি আশা করি, এই আয়োজন, সেইফগার্ডিং নিয়ে চলমান উদ্যোগকে আরও সমৃদ্ধ করবে। আমরা এই আয়োজন ভবিষ্যতেও চলমান রাখতে সচেষ্ট থাকব।’
আলোচনায় অংশ নেন জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থাসমূহ, বহুপাক্ষিক সংস্থা, বেসরকারি খাত, দাতা সংস্থা এবং আয়োজক প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার ২৫ জন প্রতিনিধি। অংশগ্রহণমূলক আলোচনায় বক্তারা বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প তৈরি এবং অনুদান প্রক্রিয়ায় সেইফগার্ডিং সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম অন্তর্ভূক্তীকরণের প্রক্রিয়া নিয়ে নিজেদের অভিজ্ঞতা এবং মতামত আদান-প্রদান করেন।
ইতিমধ্যেই এই ক্ষেত্রে করা অনন্য কাজ, এ সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রতীক‚ লতা এবং বাংলাদেশে সেইফগার্ডিংকে প্রাধান্য দেবার ক্ষেত্রে বিভিন্ন কৌশল নিয়েও মত বিনিময় করেন। আলোচনার অংশ হিসেবে অংশগ্রহণকারীরা সেইফগার্ডিং-ভিত্তিক অর্থায়নকে আরও কার্যকর করে তুলতে উন্নয়ন বিষয়ক কর্মসূচি ও সামগ্রিকভাবে এ খাতে নিয়োজিত কর্মী হিসেবে ভূমিকা রাখার ব্যাপারে সমন্বিতভাবে নিজেদের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
সবার জন্য সুরক্ষা নিশ্চিতকরণে ধারাবাহিকভাবে শেখার সুযোগ, অংশীদারিত্ব ও যৌথভাবে কাজ করার ক্ষেত্র সম্প্রসারণে উপযুক্ত পরিবেশ তৈরিতেও অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন তারা।
অনুষ্ঠানে ফান্ডার সেফগার্ডিং কোলাবোরেটিভের সিনিয়র রিজিওনাল অ্যাডভাইজর (দক্ষিণ এশিয়া) অনুরাধা মুখার্জি বলেন, ‘ফান্ডার সেফগার্ডিং কোলাবোরেটিভ এমন একটি পৃথিবী নির্মাণে বদ্ধপরিকর, যেখানে প্রতিটি সংগঠনের কার্যক্রমের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে নিরাপত্তা এবং কল্যাণ।’
তিনি বলেন, নিরাপদ সাংগঠনিক পরিবেশ এবং তা টিকিয়ে রাখতে নেয়া বিভিন্ন উদ্যোগ বাস্তবায়ন করতে আমরা বিভিন্ন দাতাদের সাথে কাজ করে থাকি। বাংলাদেশের উন্নয়ন-ক্ষেত্রে সেফগার্ডিং- এর চলমান ধারা এবং ভবিষ্যতের কর্মপন্থা বিষয়ে ব্রিটিশ কাউন্সিলের সাথে এই যৌথ আয়োজন করতে পেরে আমরা খুব আনন্দিত।’
আরো পড়ুন: কাশ্মীর সীমান্তে ভারত ও পাকিস্তানি সেনাদের মধ্যে গোলাগুলি
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সবার জন্য সুরক্ষিত ও নিরাপদ পরিবেশ তৈরিতে ব্রিটিশ কাউন্সিল প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যেন শিশু কিংবা প্রাপ্তবয়স্ক কেউই তাদের বয়স, শারীরিক ও মানসিক সক্ষমতা, আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট, জাতিগত পরিচয়, লিঙ্গ, ধর্ম বা বিশ্বাসের কারণে কোনো ঝুঁকি কিংবা হয়রানির শিকার না হন।
মানবাধিকার নিশ্চিতকরণে সচেষ্ট ব্রিটিশ কাউন্সিল সেইফগার্ডিং সম্পর্কিত চর্চা নিশ্চিতকরণে অঙ্গীকারবদ্ধ, যেন ঝুঁকিতে থাকা শিশু ও প্রাপ্তবয়স্করা নিরাপদ বোধ করার পাশাপাশি ব্রিটিশ কাউন্সিলের সংস্কৃতি বিষয়ক কার্যক্রমের মাধ্যমে উপকৃত হন। সেইফগার্ডিং সম্পর্কিত কার্যক্রমগুলোকে আরও জোরদার করার লক্ষ্যে এ গোলটেবিল বৈঠক আয়োজন করে ব্রিটিশ কাউন্সিল। সামনের দিনগুলোতেও এমন অনেক উদ্যোগ গ্রহণ করার লক্ষ্য রয়েছে সংস্থাটির।