‘মার্চ ফর গাজা’ কোন কোন পথে যাবে, জেনে নিন নির্দেশনা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১১ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:১৮ PM , আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:১৮ PM

গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের দখলদারিত্ব, গণহত্যা ও জাতিগত নিধনের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদের ঢেউ উঠেছে। ছয় শত কোটি মানুষের চোখের সামনে একটি ভূখণ্ডে প্রতিনিয়ত চলতে থাকা সহিংসতায় নারী, শিশু, বৃদ্ধ কেউই রেহাই পাচ্ছে না। বিমান হামলায় ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে মসজিদ, গির্জা, হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সাধারণ মানুষের মৌলিক জীবনের অবলম্বনগুলো। অথচ ৫৭টি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্র ও ওআইসির পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত তেমন কোনো কার্যকর পদক্ষেপ দেখা যায়নি।
এই মানবিক সংকটের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশসহ বিশ্বের নানা প্রান্তে সচেতন ও শান্তিপ্রিয় মানুষ রাজপথে নেমে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। ঢাকায়ও চলছে ধারাবাহিক কর্মসূচি। তারই অংশ হিসেবে “প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশ”-এর আয়োজনে আগামীকাল শনিবার (১২ এপ্রিল) ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অভিমুখে অনুষ্ঠিত হবে “মার্চ ফর গাজা”। বিকেল ৩টায় শুরু হতে যাওয়া এই কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতীব মাওলানা আব্দুল মালেক।
দেশের ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক—সব স্তরের মানুষ একত্রিত হয়ে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার পক্ষে এবং গাজায় চলমান নৃশংসতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে যাচ্ছেন।
মার্চটি শুরু হবে দুপুর ২টায় পাঁচটি নির্ধারিত পয়েন্ট থেকে। এগুলো হলো—বাংলামোটর, কাকরাইল মোড়, জিরো পয়েন্ট, বখশীবাজার মোড় ও নীলক্ষেত মোড়। অংশগ্রহণকারীরা শাহবাগ হয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের রমনা গেইট, মৎস ভবনের দিক দিয়ে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট গেইট এবং দোয়েল চত্বর, শহীদ মিনার ও ভিসি চত্বর হয়ে টি.এস.সি গেইট দিয়ে উদ্যানে প্রবেশ করবেন।
এদিন টিএসসি মেট্রো স্টেশন বন্ধ থাকবে। তবে চলমান পরীক্ষাগুলোর কথা বিবেচনায় নিয়ে পরীক্ষার্থীদের জন্য সব রাস্তাই উন্মুক্ত রাখা হবে। আয়োজকেরা পরীক্ষার্থীদের আগেভাগে বাসা থেকে বের হয়ে প্রয়োজনে স্বেচ্ছাসেবকদের সহায়তা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।
মার্চে অংশগ্রহণকারী সবাইকে নিজ দায়িত্বে পানি, ছাতা ও মাস্ক বহনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখার আহ্বানও জানানো হয়েছে। পাশাপাশি যেকোনো পরিস্থিতিতে শান্ত ও শৃঙ্খল আচরণ বজায় রাখতে বলা হয়েছে। রাজনৈতিক প্রতীকবিহীন ব্যানার, প্ল্যাকার্ড ব্যবহারের আহ্বান জানিয়ে আয়োজকেরা জানিয়েছেন—শুধু বাংলাদেশের এবং ফিলিস্তিনের পতাকা বহনই সংহতির যথাযথ প্রতীক হতে পারে।
এছাড়া, যেকোনো অপতৎপরতা রুখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবকদের সহযোগিতা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।