২৯ আগস্ট ২০২২, ১৫:৩৩

চাঁদে আবার মানুষ পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু

রকেট  © সংগৃহীত

অ্যাপোলো যুগের ৫০ বছর পরে আবারও চাঁদের বুকে ফিরতে চাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। নতুন চন্দ্রযান স্পেস লঞ্চ সিস্টেম (এসএলএস) রকেটের প্রথম পরীক্ষামূলক অভিযানের প্রস্তুতি সম্পন্ন। ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে আজ সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ৩৩ মিনিটের দিকে মহাকাশ যানটি উৎক্ষেপণ করা হবে।  খবর রয়টার্সের। 

আর্টিমেস-১ উৎক্ষেপণ সরাসরি দেখতে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিস কেনেডি স্পেস সেন্টারে উপস্থিত থাকবেন।  নাসার ইউটিউব চ্যানেলে এই উৎক্ষেপণ সরাসরি দেখা যাবে।

স্নায়ুযুদ্ধের পরে চাঁদকে কেন্দ্র করে আর্টিমেস প্রজেক্টই হতে যাচ্ছে সবচেয়ে বড় বৈজ্ঞানিক কর্মকাণ্ড।

১৯৬০ ও ১৯৭০–এর দশকে অ্যাপোলো অভিযানের সফলতার পর এবার আর্টেমিস নামে চন্দ্রাভিযানের নতুন অধ্যায় শুরু করছে নাসা। আজ হবে আর্টেমিস-১ অভিযান। এর অংশ হিসেবে যে এসএলএস রকেটটি উৎক্ষেপণ করা হবে, তাতে ওরিয়ন নামে চালকবিহীন একটি যান থাকবে।

আরও পড়ুন: ফেসবুক পোস্টে কমেন্ট করায় বশেমুরবিপ্রবি ছাত্রকে মারধর

চন্দ্রপৃষ্ঠের কাছাকাছি যাওয়ার পর এটি ওই ওরিয়ন যানকে সামনের দিকে ঠেলে দেবে। ছয় সপ্তাহ ধরে চাঁদের চারপাশে প্রদক্ষিণ করবে ওরিয়ন। এরপর দুটি যানই পৃথিবীতে ফিরে আসবে।

২০২৫ সালের মধ্যে চাঁদে ফিরতে চায় নাসা। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই এসএলএসের পরীক্ষামূলক কার্যক্রম জোরদার করতে এটি উৎক্ষেপণ করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের এই মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। আশা করা হচ্ছে, মোট দুই ধাপে পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণের পর তৃতীয় ধাপে নভোচারী নিয়ে যাবে এসএলএস।

নাসার পক্ষ থেকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে, যদি আবহাওয়াগত ও প্রযুক্তিগত কারণে আজ রকেটটি উৎক্ষেপণ করা না হয়, তবে ২ সেপ্টেম্বর অথবা ৫ সেপ্টেম্বর এটি মহাকাশে পাড়ি জমাবে।

শনিবার ফ্লোরিডায় হওয়া এক ঝড়ে কেনেডি স্পেস সেন্টারের রকেট উৎক্ষেপণ সাইটে বাজ পড়েছিল। তবে নাসা জানিয়েছে, স্পেসক্র্যাফট বা লাঞ্চিং সিস্টেমের কোনো ক্ষতি হয়নি।

এক দশকের বেশি সময় ধরে এসএলএস রকেটটি তৈরি করা হয়েছে। এটিকে সবচেয়ে শক্তিশালী রকেট হিসেবে উল্লেখ করেছে নাসা। গতকাল রাতে উৎক্ষেপণস্থলের যন্ত্রপাতি থেকে হিলিয়াম গ্যাস নির্গত হয় কি না, তা নিয়ে নাসার কর্মকর্তারা উদ্বেগে ছিলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এবার সেখানে ঘুরে আসতে নয়, স্থায়ীভাবে থাকতে চায় তারা। প্রথমবারের মতো এই মিশনে চাঁদের বুকে পা রাখবেন একজন নারী নভোচারী। এর আগে অ্যাপোলো মিশনগুলোতে কোনো নারীকে পাঠানো হয়নি।

আগের চন্দ্রাভিযানের নামকরণ করা হয়েছিল গ্রিক চন্দ্রদেবতা অ্যাপোলোর নামানুসারে। এবার যেহেতু চাঁদে প্রথম নারীর পদচিহ্ন পড়তে যাচ্ছে, তাই অ্যাপোলোরই যমজ বোন আর্টিমেসের নামেই এই মিশনের নামকরণ করা হয়েছে।