রামায়ণের কুইজ জিতলেন দুই মুসলিম ছাত্র
ভারতের কেরালা রাজ্যে রামায়ণ বিষয়ক কুইজে বিজয়ী হয়েছেন দুই মুসলিম ছাত্র। কেরালার বিখ্যাত প্রকাশনী “ডিসি বুকস” এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।
দুই প্রতিযোগীর মধ্যে একজনের নাম মহম্মদ বশিথ ও অন্যজনের এম মহম্মদ জবির পিকে। তারা দুজনেই কেরলের মলপ্পুরমের বাসিন্দা। একই কলেজেই পড়াশোনাও করেন তারা। জাবির ও বাসিত ছাড়া বিজয়ী অপর তিন জন হলেন-অবিরাম এম পি, নিতু কৃষ্ণ ও নবনীত গোপান।
হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, এ বছরের রামায়ণ মাস উদযাপন উপলক্ষে ২৩ থেকে ২৫ জুলাই কেরালা রাজ্যজুড়ে অনলাইন কুইজের আয়োজন করা হয়।
জাবির সমাজবিজ্ঞানে স্নাতক শেষ করে ইসলামিক স্টাডিজে স্নাতকোত্তর করছেন। আর, বাসিত মনোবিজ্ঞানে স্নাতক পড়ছেন। বাসিতও ইসলামিক স্টাডিজ কোর্স করছেন।
সংস্কৃতের পাশাপাশি মালয়ালাম ভাষায়ও রামায়ণ পড়েছেন জাবির ও বাসিত। এ কারণে তারা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মহাগ্রন্থটির বিভিন্ন বিষয়ে ভালো জানেন।
রামায়ণের অযোধ্যা কাণ্ডের শ্লো মুখস্থ বশিথের। লক্ষ্মণ যখন পরিবারের উপর ভীষণভাবে চোটে গিয়েছেন, রাগ দেখাচ্ছেন, সেই সময় রাম তাঁকে বুঝাচ্ছেন যে ক্ষমতা ও রাজত্ব সবই মূল্যহীন। এই বিশেষ অংশটি বশিথের খুব প্রিয়।
আরও পড়ুন: ধারাবাহিক নাটকে ক্রিকেটার আশরাফুল-জাহানারা
আবার জাবিরের কথা অনুযায়ী, রাম অত্যন্ত নীতিবোধসম্পন্ন একজন চরিত্র। রামকে তাঁর খুব ভালো লাগে বলে জানান জাবির। বশিথ ও জাবির দু’জনেই মনে করেন যে ভারতের বাসিন্দা হিসেবে রামায়ণ ও মহাভারত সম্পর্কে জানা খুব জরুরি। কারণ এই দুই মহাকাব্য থেকেইই ভারতের সংস্কৃতি সম্পর্কে সম্যক ধারণা, জ্ঞান অর্জন করা সম্ভব।
দুই মুসলিম ছাত্রের রামায়ণের কুইজ জেতার এই খবর ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে। এই প্রসঙ্গে তাঁদের কাছে জানতে চাওয়া হলে দুজনেই বলেন, ‘অন্য ধর্মের ধর্ম গ্রন্থ পড়ার ব্যাপারেও আমরা সমান উৎসাহী। কারণ প্রত্যেক ধর্মগ্রন্থই মানুষকে ভালোবাসার কথা বলে, উদারতার কথা বলে’।