০৬ আগস্ট ২০২২, ১২:৫৩

জাবির উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনও স্থগিত চাওয়া হয়েছে সেই রিটে!

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়   © টিডিসি ফটো

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলমের উপাচার্য পদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা সেই রিটে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনও স্থগিত চাওয়া হয়েছে। 

২ আগস্ট ( সোমবার) সুপ্রিম কোর্টের  হাইকোর্ট বিভাগের মূল ভবনের ১১ নম্বর কোর্টে রিটটি দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আলা উদ্দিন আহমেদ। তিনি সংবিধানের ১০২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জনস্বার্থে ও জাবির রেজিস্টার্ড গ্রাজুয়েট মো. শামসুজ্জোহার পক্ষে রিট করেন। 

রিটে উপাচার্যের বৈধতা চ্যালেঞ্জের পাশাপাশি ১২ আগস্ট অনুষ্ঠিতব্য সিনেট অধিবেশন ও উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন স্থগিত চাওয়া হয়েছে। এতে সিনেটরদের মেয়াদোত্তীর্ন হওয়া, 'রেজিস্ট্রার কর্তৃক ' সিনেট অধিবেশন আহ্বান ও শোকের মাসে সিনেট অধিবেশন আহ্বানকে কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে। 

রিটে বলা হয়, "জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এ্যাক্ট ১৯৭৩ এর ধারা ২০ অনুযায়ী শুধু উপাচার্য যেকোন সময় সিনেট সভা আহ্বান করতে পারেন। কিন্তু গত ২৭ জুলাই জাবির চুক্তিভিত্তিক রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে বিশেষ সিনেট সভা আহ্বান করা হয়েছে। চিঠিতে সিনেট সভার আলোচ্যসূচিতে ৩ সদস্যের উপাচার্য প্যানেল মনোনয়ন বিবেচনা ও বিবিধ রাখা হয়েছে। 

রিটে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকাকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, রেজিস্টার্ড গ্রাজুয়েট ও শিক্ষক প্রতিনিধি ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত প্রায় ৫৮ জন সিনেটরের মেয়াদ উত্তীর্ণ। এতে আরো বলা হয়েছে, শোকের মাসে এই নির্বাচন ক্যামেফ্লেজ তৈরি করতে পারে। 

এজন্য ২৭ জুলাই ইস্যুকৃত বিশেষ সিনেট সভার আমন্ত্রণ পত্রের কার্যকারিতাকে স্থগিত চাওয়া হয়েছে সাথে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনও স্থগিত চাওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, 'জাবির বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলমের চাকুরির বয়সপূর্তি হয়েছে কাজেই চলতি বছরের শুরু থেকে শিক্ষক হিসেবে ও ২ মার্চ থেকে উপাচার্য হিসেবে তার দায়িত্ব পালন অবৈধ। 

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী যেকোন শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের দায়িত্ব দিয়ে সিনেট নির্বাচন সাপেক্ষে পরবর্তীতে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন করার নির্দেশ চাওয়া হয়েছে।

তবে ২৭ জুলাইয়ের ওই চিঠি পর্যালোচনা করে দেখা যায় সেখানে 'নির্দেশক্রমে' শব্দটি আছে। আর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় আইন ১৯৭৩ এর ১১(১) ও (২) ধারা অনুযায়ী উপাচার্য পদের সাথে শিক্ষকতার কোনো সম্পর্ক নাই। 

১১(১) ধারায়, সিনেট মনোনীত ৩ সদস্যের প্যানেল থেকে আচার্য ঠিক করবেন কী কী শর্ত অনুযায়ী কাকে দায়িত্ব দেবেন। ১১(২) ধারায় সাময়িক দায়িত্ব পালনের স্বার্থে আচার্যের উপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।