দিল্লিতে উত্তেজনা, রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধি আটক

রাহুল গান্ধী আটক
রাহুল গান্ধী আটক  © সংগৃহীত

ভারতে লাগামহীম মূল্যবৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যে জিএসটি (ট্যাক্স) বাড়ানোর প্রতিবাদে কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে কংগ্রেস। ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি ও দলটির অন্যতম শীর্ষস্থানীয় নেতা রাহুল গান্ধীকে আটক করেছে পুলিশ। 

শুক্রবার (৫ আগস্ট) সকালে রাষ্ট্রপতি ভবনের সামনে বিক্ষোভ করে দলটি। সেই সময়ই রাহুলের বোন প্রিয়াঙ্গা গান্ধিকে আটক করে পুলিশ। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

পুলিশের দাবি, এ বিক্ষোভের অনুমতি ছিল না। অভিযানের সময় বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের সঙ্গে কংগ্রেস কর্মীদের ধস্তাধস্তি হয়।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবরে বলা হয়েছে, এ সময় ভারতীয় রাজনীতিক ও আন্তর্জাতিক কূটনীতিক শশী থারুরকে আটক করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: পা-য়ে ভর করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি, পা দিয়েই হতে চান জজ

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস দেশটির প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্টের বাসভবন ঘেরাও করার কর্মসূচি ঘোষণা করে। শুক্রবার এই কর্মসূচি পালনের সময়ই উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় দিল্লিতে। প্রেসিডেন্ট ভবনের উদ্দেশ্যে পদযাত্রার সময় আটক করা হয় রাহুল গান্ধীসহ একাধিক কংগ্রেস নেতাকে। এমনকি দলীয় সংসদ সদস্যদের মারধর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছে কংগ্রেস।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, বেকারত্ব সমস্যা, জিএসটি বৃদ্ধি, মূল্যবৃদ্ধির মতো একাধিক ইস্যুর প্রতিবাদে রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে শুক্রবার দিল্লির রাজপথে নামে কংগ্রেস। পার্লামেন্ট থেকে রাষ্ট্রপতি ভবন পর্যন্ত এই মিছিল হওয়ার কথা ছিল।

তবে কালো পোশাক পরে রাস্তায় নামতেই শীর্ষনেতা রাহুল গান্ধীসহ কংগ্রেস নেতৃত্বকে আটক করে দিল্লি পুলিশ। অন্যদিকে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীসহ বহু কংগ্রেস নেতা রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখানো শুরু করেন। পরে প্রিয়াঙ্কাকেও আটক করে পুলিশ।

এক সংবাদ সম্মেলনে মোদি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে রাহুল বলেছেন, দেশে গণতন্ত্রের মৃত্যু হয়েছে। প্রায় এক শতাব্দী আগে ভারত ইটের উপর ইট দিয়ে যে গণতন্ত্র তৈরি করেছিল, চোখের সামনেই ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। 

কেন্দ্রের বিরুদ্ধে স্বৈরাচারী কায়দায় সরকার চালানোর অভিযোগ তোলেন রাহুল। হাতে কালো ব্যান্ড বেঁধে প্রতিবাদ জানান সোনিয়া গান্ধি।

রাহুলের অভিযোগ, বিরোধীদের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে বিজেপি। প্রতিবাদের সুর একটু চড়া হলেই ইডি লাগিয়ে তা দমনের চেষ্টা করছে মোদি সরকার।

রাহুল গান্ধির দাবি, দেশের কোনো প্রতিষ্ঠান নিরপেক্ষ নয়। যা দেখছি তা ভারতীয় গণতন্ত্রের মৃত্যু। সংসদে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে। দেশজুড়ে একনায়কতন্ত্র কায়েম করা হচ্ছে। সংবিধান লঙ্ঘিত হচ্ছে। বিরোধীরা দেশের আইন ব্যবস্থা, বিচার ব্যাবস্থার ভরসায় লড়ে। কিন্তু বিরোধিতা করলেই তার পেছনে ইডি লাগানো হচ্ছে। যে গণতন্ত্রকে তৈরি করা হয়েছিল, তা ধ্বংস করা হচ্ছে। প্রতিদিন গণতন্ত্রের মৃত্যু হচ্ছে।


সর্বশেষ সংবাদ