মির্জা ফখরুলের মেয়েসহ তিন বাঙালির অস্ট্রেলিয়ান পুরস্কার জয়
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মেয়েসহ তিনজন বাঙালি জিতেছেন অস্ট্রেলিয়ার ‘এসিটি আউটস্ট্যান্ডিং এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ফর ডাইভারসিটি অ্যান্ড ইনক্লুশন’ পুরস্কার।
সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ায় এক অনুষ্ঠানে তাদের হাতে অ্যাওয়ার্ড ও প্রশংসাপত্র তুলে দেওয়া হয়। অস্ট্রেলিয়া বিভিন্ন দেশের কমিউনিটিগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য এ অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। মোট চারটি ক্যাটাগরিতে বিভিন্ন ভাষাভাষীর কমিউনিটির চার জনকে বিজয়ী এবং ছয় জনকে ‘অত্যন্ত প্রশংসিত’ করা হয়।
পুরস্কার প্রাপ্তরা হলেন- অলাভজনক সংস্থা রাহিমুনের উদ্যোক্তা নাজমুল হাসান, ইন্ডিভিজুয়াল চ্যাম্পিয়ন অ্যাওয়ার্ড ক্যাটাগরিতে ড. শামারুহ মির্জা এবং মাল্টিকালচারাল আর্ট, মিডিয়া বা কালচার অ্যাওয়ার্ড ক্যাটাগরিতে জাহিন তানভীর অত্যন্ত প্রশংসিত হয়েছেন। এছাড়াও বাংলাভাষীদের কয়েকটি সংগঠনও কমিউনিটিতে তাদের অবদানের জন্য প্রশংসিত হয়েছে।
এসিটি মাল্টিকালচারাল অ্যাওয়ার্ড জয়ী নাজমুল ২০২১ সালে করোনাকালীন লকডাউনে নিজস্ব উদ্যোগে কমিউনিটির সদস্যদের জন্য ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিকভাবে উপযুক্ত খাবারের ব্যবস্থা করেছিলেন। তিনি তার অলাভজনক সংস্থা রাহিমুনের মাধ্যমে আফগানিস্তান থেকে আসা আশ্রয়প্রার্থী পরিবার এবং ব্যক্তিদের সহায়তার জন্য রেড ক্রসের সঙ্গে মিলে কাজ করেছেন।
আর অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বড় মেয়ে ড. শামারুহ মির্জা মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে কাজ করছেন। এ কাজের জন্য তিনি সিতারা’স স্টোরি নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। এর মাধ্যমে তিনি মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা নিরসনে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক পটভূমি থেকে আসা নারীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া এবং কমিউনিটিতে সচেতনতা বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছেন।
শামারুহ মির্জা অস্ট্রেলিয়ায় মেডিকেল সায়েন্টিস্ট হিসেবে কাজ করছেন। ২০১৭ সালে তার প্রতিষ্ঠিত সিতারা’স স্টোরি অস্ট্রেলিয় সরকারের বিভিন্ন সংগঠনের সহায়তায় কাজ করে।
একইভাবে এসিটি মাল্টিকালচারাল আর্ট, মিডিয়া বা কালচার অ্যাওয়ার্ড ক্যাটাগরিতে ‘অত্যন্ত প্রশংসিত’ হয়েছেন জাহিন তানভীর। এই তরুণ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন অপ্রচলিত মাধ্যমে তার মতো তরুণদের জন্য কাজ করছেন। বিভিন্ন ভাষা-সাংস্কৃতিক পটভূমির তরুণরা কী কী সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন সে সম্পর্কে তিনি সচেতনতা তৈরির কাজ করছেন।
এই ক্যাটাগরিতে বাংলা রেডিও ক্যানবেরাও তাদের কার্যক্রমের জন্য ‘অত্যন্ত প্রশংসিত’ হয়েছে। বাংলা রেডিও ক্যানবেরা ১৯৯৯ সাল থেকে বাংলা কমিউনিটির কণ্ঠস্বর হিসেবে সহযোগিতা দিয়ে আসছে।
এবারের এসিটি মাল্টিকালচারাল অ্যাওয়ার্ডে আরও বাংলাভাষী ব্যক্তি ও সংগঠন তাদের কাজের জন্য ‘অত্যন্ত প্রশংসিত’ হয়েছেন।