সমাবেশে আসা কর্মীদের থাকতে দিতে স্কুল ছুটি ঘোষণা
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ধর্মতলায় তৃণমূলের বার্ষিক সভার জন্য আজ ২০ জুলাই থেকে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। সভায় আগতদের থাকার ব্যবস্থা কয়েকটি স্কুলে করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কাউন্সিলর মীনাক্ষী গুপ্ত। বুধবার বেলা ১২টার দিকে ওই স্কুলে গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষার্থী নেই, কয়েক জন শিক্ষক বসে আছেন।
চালতাবাগান এলাকায় জয়সওয়াল বিদ্যামন্দিরের শিক্ষার্থীরা বুধবার স্কুলে গিয়ে জানতে পারে, স্কুল ছুটি। ফলে তারা ফিরে যায়। শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে, তাদের ছুটির কথা জানানো হয়নি। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক চিন্ময় বিশ্বাস জানান, ২১ জুলাইয়ের সভায় লোকজন স্কুলে থাকবেন বলে কাউন্সিলর জানিয়েছেন।
২০ জুলাই থেকেই স্কুল ফাঁকা রাখার জন্য বলা হয়। চিন্ময় বিশ্বাস বলেন, যে কোনও সময়ে লোকজন চলে আসতে পারেন। কীভাবে স্কুল খোলা সম্ভব? শিক্ষকেরা জানান, রাতে থাকা ও শৌচাগার ব্যবহারের জন্য স্কুল ব্যবহার করা হবে। একটি হল ও কয়েকটি ঘর এ জন্য নেওয়া হচ্ছে। সেগুলো ফাঁকাও করা হয়েছে।
মানিকতলার রঘুমল আর্য বিদ্যালয়েও অনেক কর্মী-সমর্থকের থাকার কথা রয়েছে। স্কুলটি অবশ্য বন্ধ হয়নি, ক্লাস চলছিল। তবে প্রধান শিক্ষক দীনেশ সিংহ বলেন, কাউন্সিলর চিঠি লিখে জানিয়েছেন ২০ ও ২১ জুলাই সমাবেশ উপলক্ষে যাঁরা আসছেন, তাঁদের থাকার জন্য স্কুল ছাড়তে হবে। লোকজন এলে স্কুল ফাঁকা করে দেব।
এ বিষয়ে কাউন্সিলর মীনাক্ষী গুপ্ত বলেন. শুধু স্কুল নয়, আরও বেশ কিছু বাড়ি ও ক্লাবঘরও নেওয়া হয়েছে। না হলে লোকজন কোথায় থাকবেন? স্কুলের কোনও ক্ষতি হবে না।
আরো পড়ুন: সপ্তাহে তিনদিন স্কুল খোলা শ্রীলঙ্কায়, দু’দিন অনলাইনে
আনন্দবাজার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ২১ জুলাই ছুটি নেই। তবে যানজটের শঙ্কায় শিক্ষার্থীরা স্কুলে যাবে কি না, সন্দেহ রয়েছে। বেশির ভাগ বেসরকারি স্কুল ছুটিও দেওয়া হয়েছে। কয়েকটিতে হবে অনলাইন ক্লাস। অভিভাবকদের মতে, বুধবার থেকেই শুরু হয়েছে ছুটির পরিবেশ।
অভিভাবকদের অনেকে বলছেন, করোনার কারণে বার বার বন্ধ থাকার পরে অবশেষে স্কুল খুলেছে। এখন দুই বা তিন দিন ছুটি এড়াতে স্কুলে থাকার বন্দোবস্ত না করলেই ভালো হতো।