০৭ জুলাই ২০২২, ১৪:৪৯

অবশেষে পদত্যাগ করছেন বরিস জনসন

বরিস জনসন  © সংগৃহীত

নানা কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে নিজ দলের মন্ত্রী এবং সদস্যদের বিদ্রোহের মুখোমুখি হওয়া ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন পদত্যাগ করছেন। বৃহস্পতিবার আরও পরের দিকে তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দেবেন বলে ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিটের একটি সূত্রের বরাত দিয়ে বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

বরিস জনসন তার রাজনৈতিক দল কনজারভেটিভ পার্টির নেতা হিসেবে পদত্যাগ করবেন বলে বিবিসি জানালেও দেশটির আরেক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স বলছে, বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেবেন জনসন।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ কনজারভেটিভ নেতার পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেবেন বরিস জনসন। তবে আগামী শরৎকাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন তিনি। এর ফলে চলতি গ্রীষ্মেই কনজারভেটিভ দলীয় নেতৃত্ব নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং আগামী অক্টোবরে টরি পার্টির সম্মেলনের জন্য একজন নতুন প্রধানমন্ত্রী জনসনের স্থলাভিষিক্ত হবেন।

আরও পড়ুন: নারী-পুরুষের মধ্যে কার চুলকানি বেশি?

কনজারভেটিভ আইনপ্রণেতা ডেভিড ড্যাভিস ৫৮ বছর বয়সী নেতা জনসনকে পদত্যাগের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, নিজের স্বার্থের চেয়ে দেশকে আগে প্রাধান্য দেওয়া উচিত।

এর বিপরীতে জনসন বলেছিলেন, আমি এটা বিশ্বাস করি না যে, প্রধানমন্ত্রী পদে থাকলে সেটা জাতীয় স্বার্থের বিরোধী হবে। তবে আমি তার বক্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জানাই।

সাম্প্রতিক সময়ে একের পর এক বিতর্কে জড়িয়েছেন বরিস ও তার সরকার। করোনা লকডাউন চলাকালে সরকারি বাসভবন ডাউনিং স্ট্রিটে একাধিক মদের আসর বসিয়ে তিনি সমালোচনার জন্ম দেন। গত মাসে তার বিরুদ্ধে দলীয় আস্থাভোট আনা হলেও তাতে পার পেয়ে যান বরিস।

তবে দলে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয় ডেপুটি চিফ হুইপ হিসেবে ক্রিস পিনচারকে নিয়োগের ঘোষণা দেওয়ার পর। সম্প্রতি বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বরিস স্বীকার করেন, ক্রিস পিনচারের অসদাচরণের অভিযোগের বিষয়টি তার জানা ছিল। তারপরও চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তাকে ডেপুটি চিফ হুইপ করেন তিনি। এটি ছিল তার একটা ‘বাজে ভুল’। বরিসের এই স্বীকারোক্তি তাকে চাপে ফেলে দিয়েছে।