প্রাথমিকে চাকরির জন্য ৯ লাখ টাকা ঘুষ, ফেরত পেতে নেতার পায়ে চাকরিপ্রার্থী
সময়টা তখন ২০১২ সাল। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে চাকরি দেবেন। এক যুবকের নিকট থেকে নয় লাখ টাকা নেন নিজেকে তৃণমূলের আঞ্চলিক সভাপতি দাবি করা রতন মণ্ডল। এরপর পেরিয়ে যায় ১০ বছর। তবুও সেই যুবকের চাকরি হয়নি। পুরো টাকাও ফেরত পায়নি সেই যুবক।
এদিকে কলকাতা হাইকোর্ট দুর্নীতির অভিযোগে ২৫৯ জন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষককে বরখাস্ত করেছে। এ নিয়ে চলছে একাধিক মামলা। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের ওই নেতার পা ধরে নিজের টাকা ফেরত চাইলেন সেই যুবক। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
আনন্দবাজার জানিয়েছে, ভারতের বীরভূমের ইলামবাজারের ঘটনা এটি। ওই যুবক তার দেওয়া নয় লাখ টাকা দিয়ে বাবার চিকিৎসা করাবেন। তবে তৃণমূল নেতা রতন এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
ভুক্তভোগী তরুণের নাম অসীম সিংহ, তিনি বীরভূমের জয়দেবের বাসিন্দা। এছাড়া অভিযুক্ত রতন মণ্ডলের বাড়ি ইলামবাজারের ইসলামপুরে।
ভুক্তভোগীর বরাতে আনন্দবাজার জানিয়েছে, তৃণমূল সভাপতি দাবি করা রতন ভুক্তভোগীর নিকট থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি দেওয়ার কথা বলে নয় লাখ টাকা নিয়েছেন। নিজেদের জমি বিক্রি করে সেই টাকা দিয়েছে অসীম সিংহ। কিন্তু ১০ বছরেও টাকা ফেরত পাননি, হয়নি চাকরিও। তবে এখন পর্যন্ত এক লাখ ৮০ হাজার টাকা ফেরত পেয়েছেন তিনি।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এতে দেখা যাচ্ছে, নেতার পা ধরে টাকা চাইছেন অসীম।
অসীমের বরাতে বলা হয়েছে, টাকা ফেরত নিতে গেলে রতন বারবার দেবেন বলে জানান। কিন্তু আর দিচ্ছেন না। শেষ পর্যন্ত হাতে-পায়ে পড়ে টাকা চেয়েছেন তিনি।
এদিকে অভিযুক্ত রতন বলছেন, চাকরির কথা বলে তিনি কোনো টাকা নেননি। বরং ব্যবসা করার জন্য ধার নিয়েছিলেন। তাকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো চেষ্টা চলছে।
তিনি আরও জানান, তাকে সাড়ে সাত লাখ টাকা দিয়ে দিয়েছি। বাকি টাকাগুলো ফেরত দেওয়ার জন্য সময় চেয়েছিলাম। কিন্তু সময় পেরিয়ে গিয়েছে বলে, আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।