সহকারী শিক্ষক থেকে ভারতের রাষ্ট্রপতি হওয়ার পথে দ্রৌপদী

ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন রাজ্যপাল ও ওড়িশার প্রাক্তন মন্ত্রী দ্রৌপদী মুর্মু
ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন রাজ্যপাল ও ওড়িশার প্রাক্তন মন্ত্রী দ্রৌপদী মুর্মু  © এবিপি আনন্দ

সহকারী শিক্ষক হিসেবে বেশ কয়েক বছর ছাত্র-ছাত্রীদের সামলেছেন। এবার সেই তিনিই সামলাতে যাচ্ছেন প্রায় ১৩৮ কোটি মানুষের দায়িত্ব। তার নাম দ্রৌপদী মুর্মুকে। বিজেপির মনোনয়ন পাওয়ায় ভারতের রাষ্ট্রপতি হওয়ার দৌঁড়ে এগিয়ে রয়েছেন তিনি।

আলোচনা শুরু হয়েছে, ভারতবর্ষ কি প্রথম আদিবাসী রাষ্ট্রপতি পেতে চলেছে? বিজেপির অন্যতম প্রধান আদিবাসী মুখ ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন রাজ্যপাল ও ওড়িশার প্রাক্তন মন্ত্রী দ্রৌপদী মুর্মুকে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী ঘোষণা করেছে এনডিএ। তাঁর লড়াই বিরোধী শিবিরের প্রার্থী যশবন্ত সিন্হার সঙ্গে। রাইসিনার যুদ্ধে ভোটের অঙ্কের নিরিখে অনেকটাই এগিয়ে তিনি।

২০০০ ও ২০০৪ সালে ওড়িশার রাইরংপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপির হয়ে জিতে বিধায়ক হন দ্রৌপদী মুর্মু। ওড়িশার বিজেপি-বিজেডি জোট সরকারে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী ছিলেন তিনি।

এরপর ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৭ পর্যন্ত ছিলেন সাম্মানিক সহকারী শিক্ষক। ১৯৯৭ সালে পুরভোটে জিতে কাউন্সিলর হন দ্রৌপদী মুর্মু। সেই সঙ্গে রাইরংপুর পুরসভার ভাইস চেয়ারপার্সনের দায়িত্বও পান তিনি। বিজেপির একাধিক সাংগঠনিক দায়িত্বও পালন করেছেন।

আরো পড়ুন: একসাথে দুই প্রেমিকাকে বিয়ে করলেন যুবক

২০০২ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত বিজেপির আদিবাসী মোর্চার জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য ছিলেন। ২০০৬ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত ওড়িশা বিজেপির আদিবাসী মোর্চার সভানেত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। ২০১০ সালে ময়ূরভঞ্জ পশ্চিমের জেলা বিজেপি সভাপতি করা হয় তাকে।

দ্রৌপদী মুর্মু ২০১৫ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল ছিলেন। আগামী ১৮ জুলাই ভারতের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। ফল ঘোষণা হবে ২১ জুলাই।