অস্ট্রেলিয়ার সিনেটে প্রথম হিজাবধারী নারী
মাত্র ২৭ বছর বয়সে অস্ট্রেলিয়ার সিনেটর নির্বাচিত হয়েছেন ফাতিমা পেমান। তিনি অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসে তৃতীয় কনিষ্ঠতম সিনেটর। ২৭ বছর ফাতিমাই হতে যাচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ার সিনেটে প্রথম হিজাবধারী মুসলিম নারী। তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এ তথ্য জানিয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার সিনেটে প্রথমবারের একজন আফগান শরণার্থী সিনেটর হিসেবে জয় পেয়েছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আফগানিস্তানের নাগরিক ফাতিমা পেম্যান পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া থেকে সিনেটর নির্বাচিত হয়েছেন। একজন মুসলিম ও হিজাধারী হিসেবে প্রথমবারের মতো সিনেটর নির্বাচিত হয়ে ইতিহাস গড়েছেন।
আরও পড়ুন: নাপিত্তাছড়ায় তলিয়ে যাওয়া আরেকজনের লাশ উদ্ধার, নিহত ৩ জনই শিক্ষার্থী
সোমবার (২০ জুন) এক প্রতিবেদনে অস্ট্রেলিয়ার গণমাধ্যম জানিয়েছে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার ষষ্ঠ ও চূড়ান্ত সিনেট জয় করেন ফাতিমা পেম্যান। আফগান অস্ট্রেলিয়ান এ নারী অজি পার্লামেন্টের প্রথম হিজাবি সদস্য।
প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্যাট্রিক গোরম্যান বলেছেন, আমি গর্বিত, আমার রাজ্য ফাতিমাকে নির্বাচিত করে ক্যানবেরায় তাদের প্রতিনিধিত্ব করতে পাঠাচ্ছে।
নিজের টুইট পোস্টে তিনি আরও বলেন, সিনেটর হিসেবে নির্বাচিত ফাতিমা একজন অস্ট্রেলীয় মুসলিম যার সাংস্কৃতিক শিকড় আফগানিস্তানের। তিনি পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া জুড়ে লেবার প্রার্থী ও সদস্যদের সমর্থন আদায়ে কঠোর পরিশ্রম করেছেন। এটি আমাদের রাজ্যের জন্য একটি বড় জয়। পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার লেবার পার্টির তৃণমূল সদস্যদের জন্যও এটি বড় বিজয়। তারা সিনেট জয়ে আমাদের বিপুল ভোট পেতে সাহায্য করেছে।
নির্বাচন কমিশন তার বিজয় ঘোষণার পর ফাতিমা নিজের সমর্থকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। ফেসবুকে স্ট্যাটাসে পোস্ট করে তিনি বলেন, আমি জয় পেয়েছি। নিজেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার সিনেটর হিসেবে ঘোষণা করতে পেরে আমি গর্বিত। আপনাদের ভালোবাসা ও সমর্থনের জন্য সবাইকে ধন্যবাদ। আমরা এটা সফল করতে পেরেছি।
এর আগে চলতি মাসের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী আলবানিজ তার মন্ত্রিসভায় দুজন মুসলিম নারীকে অন্তর্ভুক্ত করেন। তারা হলেন অ্যানি আলি ও অ্যাড হুসিক। ফাতিমাসহ আলবানিজের সিনেটে এখন পর্যন্ত তিনজন মুসলিম নারী জায়গা পেলেন, যা অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসে প্রথম।
উল্লেখ্য, ফাতিমা পেমান আট বছর বয়সে পরিবারের সাথে অভিবাসী হিসেবে অস্ট্রেলিয়ায় এসেছিলেন। সেখানেই তিনি উচ্চ শিক্ষা লাভ করেন। পরে রাজনৈতিক দল লেবার পার্টিতে যোগ দেন।
সূত্র: গার্ডিয়ান ও এবিসি অস্ট্রেলিয়া