অনাস্থা ভোটে জয়ের আগে বড় জয় পেলেন ইমরান খান
ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এবং রাস্তায় সমাবেশ পাকিস্তানে রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়িয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের পার্লামেন্টে রোববার অনাস্থা ভোটের আগে বড় বিজয় পেয়েছেন ইমরান খান। পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ইমরানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) ‘অপ্রতিরোধ্য সাফল্য’ পেয়েছে।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ এক প্রতিবেদনে জানায়, ক্ষমতাসীন পিটিআই খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে এগিয়ে আছে।
ওই প্রদেশের ৬৫টি তহসিল কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও মেয়র পদে এই ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
ফলাফল দেখা গেছে, ৬৪টি তহসিল কাউন্সিলের মধ্যে ৪৮টির জন্য গণনা সম্পূর্ণ হয়েছে। পিটিআই ২৪টি তহসিল কাউন্সিলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে এবং সাতটি তহসিল কাউন্সিলের মধ্যে শীর্ষস্থানীয় অবস্থানে রয়েছে।
স্থানীয় নির্বাচনে পিটিআইকে ‘অপ্রতিরোধ্য সাফল্যের’ জন্য অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেন, প্রদেশের জনগণ ‘বিশ্বাসঘাতকদের’ প্রত্যাখ্যান করেছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে চিঠিতে ‘হুমকি’ পেয়েছেন বলে সম্প্রতি মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তার দাবি, পিটিআই সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত দেখতে চায় ওয়াশিংটন।
আরও পড়ুন: কাতার বিশ্বকাপের অফিসিয়াল গান ‘হায়া হায়া’
এর মধ্যে আবার পাকিস্তানি তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী দাবি করেছেন, ইমরান খানকে প্রাণে মেরে ফেলার ষড়যন্ত্র হচ্ছে আর সে জন্য তার নিরাপত্তাও জোরদার করা হয়েছে। পাকিস্তান সরকারের সঙ্গে মার্কিন প্রশাসনের সম্পর্কের এমন টানাপোড়েন এখন বিশ্ব রাজনীতির আলোচনার বিষয়বস্তু।
কিন্তু এসব ঘটনা ঠিক এমন এক সময়ে ঘটছে, যখন পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে হেরে এমনিতেই ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার শঙ্কায় ইমরান খান। তাই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, তার এই ‘হত্যার হুমকি’ আসলেই বিদেশি ষড়যন্ত্র নাকি অনাস্থা ভোট থেকে নজর ঘোরানোর চেষ্টা?
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের খবরে জানা যায়, গত রোববার একটি জনসমাবেশে ইমরান খান বলেন, তিনি একটি চিঠি পেয়েছেন, যাতে দেখা যায়, একটি ভিনদেশি রাষ্ট্র তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত এবং পাকিস্তানে তার রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীরা ওই দেশটির নির্দেশ মোতাবেক কাজ করছে।