শ্রীলঙ্কায় চিনির কেজি ২৯০, চালের কেজি ৫০০
শ্রীলঙ্কায় চলমান অর্থনৈতিক সংকটের মুখে দেশটির নাগরিকরা ভারতে আসতে শুরু করেছে। মঙ্গলবার ভারতের তামিলনাড়ুতে ১৬ শ্রীলঙ্কান শরণার্থীকে উদ্ধার করে উপকূল রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এরপর থেকেই বাড়ছে শরণার্থীদের আগমন।
মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কান শরণার্থীদের দু’টি দল ভারতের তীরে এসে পৌঁছেছে। ছয়জনের একটি দল রামেশ্বর এলাকায় আসছিল সে সময় ভারতীয় কোস্ট গার্ড বাহিনী তাদের বাঁচায়। নৌকাটি ফোর্থ আইল্যান্ডে ফেঁসে গিয়েছিল। শরণার্থীরা শ্রীলঙ্কার উত্তর জাফনা এলাকা থেকে আসছে।
তামিলনাড়ু ইন্টেলিজেন্সের বক্তব্য অনুযায়ী এটা কেবল শুরু। খুব শীঘ্রই আরও অন্তত দুই হাজার শ্রীলঙ্কার শরণার্থী ভারতে পাড়ি জমাবেন।
আরও পড়ুন: পরিবারের হাল ধরতে এপ্রিলে চাকরিতে যোগ দেওয়ার কথা ছিল প্রীতির
শ্রীলঙ্কায় হু হু করে বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। চাল ও দুধের মতো খাদ্যপণ্যের দামও আকাশচুম্বী। পেট্রোল ও ডিজেল না থাকায় জ্বালানি পাম্প স্টেশনগুলো বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। প্রশ্নপত্র ছাপা ও পরীক্ষা নেওয়ার মতো পর্যাপ্ত কাগজ আমদানি সম্ভব না হওয়ায় স্কুল পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।
দেশটি থেকে ভারতে যাওয়া শরণার্থীরা জানিয়েছেন সেখানে চাল প্রতি কেজিতে শ্রীলঙ্কার মুদ্রায় ৫০০ টাকা অবধি পৌঁছেছে। ৪০০ গ্রাম পাউডার দুধের দাম ৭৯০ টাকা। এক কেজি চিনির দাম ২৯০ টাকা। ১৯৮৯ সালে গৃহযুদ্ধের সময় যেভাবে মানুষ পালাতো এবারেও সেই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন: যোগদানের দিন থেকেই বেতন কার্যকর চান শিক্ষকরা
১৯৪৮ সালের স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে সবচেয়ে ভয়ংকর অর্থনৈতিক সংকটের মুখে শ্রীলঙ্কা। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংকটের কারণে শ্রীলঙ্কায় খাদ্য, জ্বালানি ও ওষুধের মতো প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতেও চাপ সৃষ্টি হয়েছে।
এর আগে ৮০-র দশকের শুরুতে গৃহযুদ্ধের কারণে শ্রীলঙ্কা থেকে আসা শরণার্থীদের আশ্রয় দেয় তামিল নাড়ু। বর্তমানে রাজ্যের ১০৭টি শিবিরে প্রায় ৬০ হাজার শরণার্থী বসবাস করছে। এর বাইরে শ্রীলঙ্কা থেকে আসা আরও ৩০ হাজার মানুষ সেখানে বসবাস করছেন।