লন্ডনে রেল স্টেশনের নাম লেখা হলো বাংলায়
বাংলাদেশিদের সম্মানে সম্প্রতি প্রথমবারের মতো লন্ডনের কোনো স্টেশনের নাম লেখা হলো বাংলা ভাষায়। ব্রিটেনের ব্যস্ততম রেলস্টেশনের মধ্যে অন্যতম পূর্ব লন্ডনের ‘হোয়াইটচ্যাপেল রেলস্টেশন’। এ স্টেশনটির নাম বাংলা বর্ণমালায় লিখা হয়েছে।
অসংখ্য বাংলাদেশি নাগরিক লন্ডনে বহু বছর ধরে বসবাস করছেন। ব্রিটিশ অর্থনীতিতে তারা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন। বলা হচ্ছে এটি ব্রিটেনের বাঙালি কমিউনিটির একটি বিরাট অর্জন।
শুক্রবার (১১ মার্চ) বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ফেসবুকে লন্ডনের হোয়াইটচ্যাপেল স্টেশনের বেশ কয়েকটি ছবি পোস্ট করেছেন। তিনি লিখেছেন, বাংলাদেশিদের জন্য অন্যরকম প্রাপ্তি। এই প্রথম লন্ডনের কোনো ট্রেনস্টেশনের নাম ইংরেজির পাশাপাশি বাংলায় লেখা হলো। ধন্যবাদ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের।
আরও পড়ুন: জাবিতে র্যাগ ডের ড্যান্স পারফরম্যান্স নিয়ে সমালোচনা
ট্রান্সপোর্ট ফর লন্ডন এবং টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের আর্থিক সহযোগিতায় স্টেশনটিতে বাংলায় নাম লেখা হয়েছে। ১৮৭৬ সালে নির্মিত বর্তমানে আধুনিকায়ন করা এই স্টেশন দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী যাতায়াত করেন। ফলে স্টেশনের নাম বাংলা ভাষায় হওয়ায় বাংলা ভাষার সম্মানে আরও একটি মাত্রা যোগ হলো। পরিচিতি পেলো একটি উন্নত বহুজাতিক পরিমণ্ডলে।
বাংলাদেশি কমিউনিটির এ অর্জনের পেছনে যাদের অবদান সবচেয়ে বেশি এরা হলেন মেয়র অব লন্ডন সাদেক খান ও টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের মেয়র জন বিগস ও গ্রেটার লন্ডন অ্যাসেম্বলি মেম্বার উন্মেষ দেশাই উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও টাওয়ার হ্যামলেটসের কাউন্সিলররা এবং কমিউনটির নেতারাসহ সবার প্রচেষ্টার ফলে স্টেশনের নাম বাংলায় লেখা সম্ভব হয়েছে।
এর আগে, গত বছরের সেপ্টেম্বরে হোয়াইটচ্যাপেল স্টেশনের সব সংকেত ইংরেজির পাশাপাশি বাংলা ভাষায় লিখতে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়। লন্ডনের মেয়রের সাদিক খানের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এই আবেদন জানান টাওয়ার হ্যামলেটের মেয়র জন বিগস। চিঠিতে তিনি পূর্ব লন্ডনে বসবাসকারী বৈচিত্র্যময় মানুষদের কথা উল্লেখ করে সিটি হল ও টিএফএলের (ট্রান্সপোর্ট ফর লন্ডন) সংকেতগুলোকে দ্বিভাষিক করার অনুরোধ জানান।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ইস্ট লন্ডন অ্যাডভার্টাইজারের খবর অনুসারে, টাওয়ার হ্যামলেট মেয়রের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে হোয়াইটচ্যাপেল স্টেশনের মতো লন্ডনের বিখ্যাত সিটি হলেও বাংলা সংকেতের বিষয়টি বিবেচনা করছে কর্তৃপক্ষ।