রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনা শুরু
বেলারুশের স্থানীয় সময় ১টার দিকে ইউক্রেন-বেলারুশ সীমান্তে রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনা শুরু হয়েছে। আল জাজিরা জানিয়েছে, ইউক্রেনের প্রতিনিধিদলে প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেক্সি রেজনিকভ ও জেলেনস্কির উপদেষ্টা মিখাইলো পোডোলিয়াক ও অন্যরা রয়েছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আলোচনার মূল বিষয় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ও ইউক্রেন থেকে সেনা প্রত্যাহার করা।
এর আগে, উচ্চ পর্যায়ের কিছু কর্মকর্তাসহ ইউক্রেনের প্রতিনিধিদল শান্তি আলোচনায় অংশ নিতে ইউক্রেন-বেলারুশ সীমান্তে পৌঁছায়। তবে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে নেই বলে সিএনএন’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রুশ সংবাদ সংস্থাগুলোতে পাঠানো এক বিবৃতিতে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানায়, রাশিয়া ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত। আলোচনা করার জন্য ইতিমধ্যে মস্কো থেকে একটি প্রতিনিধিদল বেলারুশের গোমেল শহরে পৌঁছেছে বলেও জানান পেসকভ।
তবে এরমধ্যেই আলোচনাস্থল নিয়ে আপত্তি তুলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। বিবিসি’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মস্কো বেলারুশ ভূখণ্ড থেকে ইউক্রেনে হামলা না চালালে, দেশটিতে আলোচনায় অংশ নিতে জেলেনস্কির আপত্তি ছিল না। এখন অন্য যেকোনো শহরে আলোচনা প্রস্তুত জেলেনস্কি।
আলোচনার ব্যাপারে তিনি বলেন, আমরা অবশ্যই শান্তি চাই, বৈঠক করতে চাই। চাই যুদ্ধের অবসান হোক।
আরও পড়ুন: আটকে পড়া শিক্ষার্থীদের উদ্ধারে ৪ মন্ত্রীকে পাঠাচ্ছে ভারত
তবে শেষ পর্যন্ত ইউক্রেন-বেলারুশ সীমান্তে আলোচনার জন্য প্রতিনিধি দল পাঠায় ইউক্রেন।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সেনা অভিযানের ঘোষণা দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপর থেকেই ইউক্রেনের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র বর্ষণ করতে শুরু করে রুশ সেনাবাহিনী। প্রথম দিনের যুদ্ধে ইউক্রেনের সবচেয়ে বড় শহর খারকিভ এবং পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র চেরনোবিলের দখল নেয় রুশ বাহিনী।
এদিকে রোববার আর্থিক লেনদেনের বার্তা আদান-প্রদানকারী আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান সুইফট নেটওয়ার্ক থেকে রাশিয়াকে বের করে দেয়ার সিদ্ধান্ত জানায় পশ্চিমাবিশ্ব। প্রাথমিকভাবে নির্দিষ্ট কিছু ব্যাংককে এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, যুক্তরাজ্য, কানাডা এবং যুক্তরাষ্ট্র এ সংক্রান্ত একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করেছে বলে জানায় বিবিসি।