ইউক্রেনের রাজধানী থেকে উঠিয়ে নেয়া হলো কারফিউ
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ থেকে চলমান কারফিউ উঠিয়ে নেয়া হয়েছে। বিবিসি এক প্রতিবেদনে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এর আগে শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাশিয়ার হামলার মুখে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে কারফিউ জারি করেছেন সেখানকার মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো। কারফিউ চলাকালীন রাস্তায় থাকা সব বেসামরিক নাগরিককে শত্রুপক্ষের সদস্য হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
কারফিউ জারি করে তিনি বলেন, বন্ধুরা, কিয়েভে আজ থেকে কারফিউ জারি করা হলো। রাত ১০টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত এই কারফিউ বলবৎ থাকবে। কারফিউ চলাকালে গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য চলবে মেট্রোরেল।
আরও পড়ুন: এবার অস্ত্র হাতে যুদ্ধের মাঠে ইউক্রেনের সেরা সুন্দরী
এদিকে ইউক্রেনীয়-বেলারুশ সীমান্তে আজ সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছে ইউক্রেন, ইউক্রেনের উপস্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বরাতে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। এর আগে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন তার দেশের পারমাণবিক অস্ত্রের বহরকে ‘বিশেষ সতর্কতায়’ রাখতে সামরিক বাহিনীকে নির্দেশ দেন।। এটি রাশিয়ার কৌশলগত ক্ষেপণাস্ত্র বহরের জন্য ‘সর্বোচ্চ স্তরের সতর্কতা’।
গত সপ্তাহে ইউক্রেনে রুশ অভিযান শুরুর পর এটি দুই পক্ষের মধ্যে প্রথম আলোচনা। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর ফোনালাপের পর এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন।
আরও পড়ুন:নটরডেম ছাত্রের পড়াশোনার দায়িত্ব নিলেন শিক্ষামন্ত্রী
রোববার রুশ সংবাদ সংস্থাগুলোতে পাঠানো বিবৃতিতে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছিলেন, রাশিয়া ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত রয়েছে।
আলোচনা করার জন্য ইতিমধ্যে মস্কো থেকে একটি প্রতিনিধিদল বেলারুশের গোমেল শহরে পৌঁছেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। এরপর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছিলেন, তিনি রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় প্রস্তুত আছেন। তবে বেলারুশে আলোচনা অনুষ্ঠিত হলে, তাতে অংশ নিতে রাজি নন তিনি।