২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১০:২৯

রাশিয়া-ইউক্রেনের বৈঠক আজ

আলোচনায় বসবে রাশিয়া-ইউক্রেন  © সংগৃহীত

ইউক্রেনীয়-বেলারুশ সীমান্তে আজ সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছে ইউক্রেন, ইউক্রেনের উপস্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বরাতে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। এর আগে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন তার দেশের পারমাণবিক অস্ত্রের বহরকে ‘বিশেষ সতর্কতায়’ রাখতে সামরিক বাহিনীকে নির্দেশ দেন।। এটি রাশিয়ার কৌশলগত ক্ষেপণাস্ত্র বহরের জন্য ‘সর্বোচ্চ স্তরের সতর্কতা’।

আরও পড়ুন: রুশ হামলায় বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমান ধ্বংস

গত সপ্তাহে ইউক্রেনে রুশ অভিযান শুরুর পর এটি দুই পক্ষের মধ্যে প্রথম আলোচনা। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর ফোনালাপের পর এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন।

রোববার রুশ সংবাদ সংস্থাগুলোতে পাঠানো বিবৃতিতে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছিলেন, রাশিয়া ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত রয়েছে।

আলোচনা করার জন্য ইতিমধ্যে মস্কো থেকে একটি প্রতিনিধিদল বেলারুশের গোমেল শহরে পৌঁছেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। এরপর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছিলেন, তিনি রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় প্রস্তুত আছেন। তবে বেলারুশে আলোচনা অনুষ্ঠিত হলে, তাতে অংশ নিতে রাজি নন তিনি।

রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের নির্দেশের পরপরই স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ভোরে স্থল, আকাশ ও জলপথে ইউক্রেনে হামলা শুরু করেন রাশিয়ার সেনারা। উত্তর, দক্ষিণ ও পূর্ব দিক থেকে, এমনকি বেলারুশ থেকেও হামলা চালানো শুরু হয়। ধীরে ধীরে রাজধানী কিয়েভের দিকে অগ্রসর হয় রুশ সেনারা। ইউক্রেনের সেনাদের সঙ্গে শুরু হয় তীব্র লড়াই।

সম্প্রতি পূর্ব ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর নির্দেশের আগে রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রিত দুটি অঞ্চলকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। স্থানীয় সময় সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাতে টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে পুতিন ইউক্রেনকে রাশিয়ার ইতিহাসের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, পূর্ব ইউক্রেন এক সময় রাশিয়ার ভূমি ছিল। পুতিনের এ ঘোষণার পরপরই শুরু হয় ইউক্রেন আগ্রাসন।