যুদ্ধ দীর্ঘমেয়াদী হবে: ফ্রান্স
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ বলেছেন, বিশ্ব একটি দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধের মুখে পড়তে যাচ্ছে। এর জন্য যে সংকট তৈরি হচ্ছে তাও দীর্ঘমেয়াদি। আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। আজ ফ্রান্সের বার্ষিক কৃষি মেলায় গিয়ে এ কথা বলেন তিনি।
এসময় ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, আপনাদের একটি কথা বলতে পারি, সেটা হচ্ছে ইউক্রেন-রাশিয়ার সংঘাত অনেক দূর পর্যন্ত গড়াবে। অনেক ভোগাবে। জোর করে ক্ষমতায় আসা পুতিন ইউরোপে যুদ্ধ চাপিয়ে দিচ্ছেন। ইউক্রেনে মানবিক বিপর্যয় নেমে এসেছে, যা দেশটির জনগণ মোকাবিলা করছে। এই কারণে ইউক্রেনীয় নাগরিকদের পাশে আছে ইউরোপ।
যুদ্ধের কারণে ফ্রান্সের কিছু নির্দিষ্ট খাত ঝুঁকিতে পড়তে যাচ্ছে বলে জানান ম্যাখোঁ। তিনি বলেন, সবচেয়ে হুমকিতে ওয়াইনশিল্প। পরিস্থিতি মোকাবিলায় পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে।
এদিকে ইউক্রেনকে অস্ত্র সহায়তা দিতে সম্মত হয়েছে আমেরিকা, ব্রিটেনসহ ২৮টি দেশ। ইউক্রেনের পতিবেশী দেশ রোমানিয়ায় ৫০০ সৈন্য প্রেরণ করেছে ফ্রান্স। ন্যাটোর বাহিনীর সঙ্গে একত্রে কাজ করবে তারা। এছাড়া ২৮টি দেশ সামরিক ও বেসামরিক সহায়তা দেবে বলে মনস্থির করেছে। সামরিক সহায়তার আওতায় তারা ইউক্রেনকে গোলাবারুদ, ট্যাংকবিধ্বংসী ও বিমানবিধ্বংসী অস্ত্র দেবে। বেসামরিক সহায়তার আওতায় থাকবে চিকিৎসা সরঞ্জামাদি।
যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। তিনি সামরিক বাহিনীর পাশাপাশি সাধারণ জনগণকেও অস্ত্র নিয়ে প্রতিরোধ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ইউক্রেন আমাদের। রাশিয়া অন্যায়ভাবে আমাদের শহও গুড়িয়ে দিচ্ছে। আমরাও ছেড়ে কথা বলছি না। এখন পর্যন্ত অনেক রাশিয়ান সৈন্য হতাহত হয়েছে। আমাদের গোলাবারুদ প্রয়োজন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের একাধিক ভিডিওতে দেখা যায়, জেলেনস্কিও যুদ্ধক্ষেত্রে রয়েছেন। মাঝে মাঝে ভিডিও বার্তায় এসে সাহস যোগাচ্ছেন সবার।
আজ সকাল থেকেই রাজধানী কিয়েভ দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে রাশিয়া। শক্ত প্রতিরোধ গড়েছে ইউক্রেন সেনাবাহিনীও। তুমুল যুদ্ধ চলছে সেখানে। বহু হতাহতের খবরও পাওয়া যাচ্ছে।