কিয়েভের রাজপথে অস্ত্র হাতে সাবেক প্রেসিডেন্ট
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের দিকে এগিয়ে চলেছে রুশ সেনারা। এ পরিস্থিতিতে শহরটির বেসামরিক লোকজনকে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়েছে। কিয়েভের রাজপথে রাইফেল হাতে সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট পেত্রো পোরোশেঙ্কো। তিনি বলেন, ইউক্রেনের জনগণ অস্ত্র হাতে দেশরক্ষায় প্রস্তুত।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পোরোশেঙ্কো বলেন, সবার বোঝা উচিত, পুতিন (রুশ প্রেসিডেন্ট) শুধু ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেননি, পুরো বিশ্বের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন।
সিএনএনের প্রকাশিত ভিডিওচিত্রে দেখা যায়, পোরোশেঙ্কো একটি রাইফেল নাড়াচাড়া করছেন। এ সময় তাঁর আশপাশে সশস্ত্র ব্যাটালিয়ন সদস্যদেরও দেখা যায়।
সাক্ষাৎকারে পোরোশেঙ্কো রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ‘পাগল’ বলে উল্লেখ করেন। পোরোশেঙ্কো বলেন, পুতিন উন্মাদ হয়ে গেছেন। শুধু ইউক্রেনের জনগণকে হত্যা করার জন্য এই হামলা চালিয়েছেন।
পোরোশেঙ্কো দৃঢ়ভাবে বলেন, পুতিন কখনোই রাজধানী কিয়েভ দখল করতে পারবেন না। তিনি বলেন, রুশ হামলায় কতজন সেনা নিহত হলো সেটা কোনো বিষয় নয়, পুতিনের কত ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে, কত পারমাণবিক বোমা রয়েছে সেটাও কোনো বিষয় নয়; কারণ, আমরা স্বাধীন ইউক্রেনের জনগণ।
শুক্রবার ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ভাদিম ডেনিসেনকো বলেন, অস্ত্র হাতে আমাদের রাজধানীকে রক্ষা করতে চান, কিয়েভে এমন স্বেচ্ছাসেবীদের কাছে ১৮ হাজার মেশিনগান সরবরাহ করা হয়েছে।
এর আগে রুশ সেনাদের বিরুদ্ধে কিয়েভের বাসিন্দাদের প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানায় ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে এক পোস্টে মন্ত্রণালয় জানায়, রুশ সেনাদের গতিবিধি সরকারকে জানাতে সাধারণ নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। পাশাপাশি মলতোভ ককটেল তৈরি করে শত্রুদের প্রতিহত করতে বলা হয়েছে।