২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৯:১৮

রুশ হামলায় ইউক্রেনের ১৩৭ সৈন্য নিহত

ইউক্রেন আগ্রাসন  © সংগৃহীত

ইউক্রেনে রুশ হামলার প্রথম দিনে নিজেদের ১৩৭ জন সৈন্য নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। তিনি বলেন, বিভিন্ন স্থানে রুশ বাহিনীর সাথে তুমুল লড়াই চলছে। আহত হয়েছেন তিন শতাধিক সেনাসদস্য। তাছাড়া, পুরো ইউক্রেনেই বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাচ্ছে রুশ বাহিনী- এমন অভিযোগ জেলেনস্কির।

তার দাবি, বিভিন্ন স্থানে রুশ বাহিনীর সাথে তুমুল লড়াই চলছে। আহত হয়েছেন তিন শতাধিক সেনা সদস্য। তাছাড়া, পুরো ইউক্রেনেই বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাচ্ছে রুশ বাহিনী- এমন অভিযোগ জেলেনস্কির। তিনি বলেন, রাশিয়া স্থল-নৌ-আকাশ এই তিন পথেই অভিযান চালাচ্ছে। পাল্টা অভিযানে রাশিয়ার ৩০টি ট্যাংক এবং পাঁচটি যুদ্ধবিমান ধ্বংস করা হয়েছে। আর প্রতিরোধ লড়াইয়ে যোগ দিতে ইউক্রেনের সব বাসিন্দাকে আহ্বান জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট।

এদিকে রাশিয়া বলছে প্রথমদিনই ইউক্রেনের ৮৩টি সামরিক স্থাপনা ধ্বংস করা হয়েছে। চেরনোবিল পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দখলও নিয়েছে রুশ বাহিনী। জাতিসংঘ বলছে, জীবন বাঁচাতে কমপক্ষে এক লাখ মানুষ ছেড়েছে নিজ ঘরবাড়ি।

আরও পড়ুন- ইউক্রেনকে সমর্থন দিলো যুক্তরাষ্ট্র ও জি-৭

ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভোলদিমের জেলেনস্কি বলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে প্রথম দিনের লড়াইয়ে ১৩৭ জন হিরোকে হারালাম। তাদের মধ্যে রয়েছেন সামরিক-বেসামরিক নাগরিকরা। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩১৬ জন। ভুয়া তথ্য ছড়ানো হচ্ছে- জেলেনস্কি পালিয়ে গেছে। তাদের বলবো, নিজ জনগণের সাথে কিয়েভেই রয়েছি আমি। কারণ আমিই শত্রুপক্ষের অন্যতম টার্গেট। তাদের লক্ষ্য রাজনৈতিকভাবে ইউক্রেনকে ধ্বংস করা।

ন্যাটোর সদস্য হতে চাওয়া ও জেলেনস্কির পশ্চিমা প্রীতির কারণেই ক্ষুব্ধ হয় রাশিয়া। আমেরিকা বরাবরই ইউক্রেনকে সহায়তা দিয়ে আসছিলো। তবে যুদ্ধ শুরুর পর তারা জানিয়েছে, যুদ্ধে জড়ানোর কোনো ইচ্ছে তাদের নেই। তবে তারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অবরোধ দিয়েছে। এতে রাশিয়ার অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব পড়বে বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।

পুতিন বলছেন, রাশিয়ার দিকে অন্য কোন দেশ আঙ্গুল তুললে পরিণত ভালো হবে না। সমুচিত জবাব দেবে ক্রেমলিন।