ইউক্রেনকে সমর্থন দিলো যুক্তরাষ্ট্র ও জি-৭
ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার চলমান সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্র ও জি-৭ এর দেশগুলো ইউক্রেনকে সমর্থন দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। জি-৭ এর দেশগুলোর সঙ্গে বৈঠকের পর শুক্রবার রাতে প্রেসিডেন্টের ফেসবুক পেজে দেয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ফেসবুকে স্ট্যাটাসে বাইডেন জানান, আজ সকালে আমি ইউক্রেনের উপর প্রেসিডেন্ট পুতিনের অযৌক্তিক আক্রমণ নিয়ে জি-৭ এর দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেছি। বৈঠকে রাশিয়াকে এ হামলার বিষয়ে জাবাবদিহির আওতায় আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। একইসঙ্গে দেশটির প্রতি ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা ও অর্থনৈতিক অবরোধের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা ইউক্রেনের পাশে আছি।
এর আগে, বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার সকাল নয়টা নাগাদ প্রেসিডেন্ট পুতিনের ঘোষণার পরেই ইউক্রেনে শুরু হয়েছে রাশিয়ার সেনা অভিযান।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার হামলায় ৭ জন নিহত: ইউক্রেন পুলিশ
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের কাছে বিস্ফোরণের খবরে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছেন, প্রেসিডেন্ট পুতিন একটি পরিকল্পিত যুদ্ধ শুরু করেছেন, যা মানুষের জীবনে ভয়াবহ বিপর্যয় আর দুর্দশা ডেকে আনবে। এই হামলা যে ধ্বংস ডেকে আনবে, যে প্রাণক্ষয়ের কারণ হবে, তার দায় পুরোপুরি রাশিয়াকেই বহন করতে হবে।
এদিকে, ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ঢুকেছে রুশ সৈন্যরা। রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর সদস্যরা ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের উত্তরাঞ্চলে ঢুকে পড়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বলেছে, বৃহস্পতিবার দেশটিতে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী বিভিন্ন দিক অভিযান শুরুর পর এখন রাজধানীর দিকে অগ্রসর হতে শুরু করেছে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এবারই প্রথম ইউরোপের দেশ হিসাবে রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী স্থল, আকাশ এবং সমুদ্রপথে ইউক্রেনে সবচেয়ে বড় হামলা শুরু করেছে। ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র বৃষ্টির মতো পড়েছে।
ইউক্রেনের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বলেছে, কিয়েভে সরকারি স্থাপনাগুলো লক্ষ্য করে গ্র্যাড মিসাইল ছুড়ে হামলা চালাচ্ছে রুশ সৈন্যরা। রাজধানী কিয়েভের উত্তরাঞ্চলের আকাশে কয়েকটি হেলিকপ্টার নিচু দিয়ে উড়তে দেখেছেন বলে ফরাসি বার্তাসংস্থা এএফপির একজন প্রতিনিধি জানিয়েছেন। এ সময় কিয়েভের একটি বিমানঘাঁটিতে হামলার খবর পাওয়া গেছে।