২২ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ২২:০৮

টেলিভিশনে মোদীর সঙ্গে বিতর্ক করতে চান ইমরান খান

পাক-ভারত প্রধানমন্ত্রী   © টিডিসি ফটো

মাস দুয়েক আগে পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে বিপাকে পড়ে ‘শত্রু’ ভারতের প্রশস্তি গেয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান । এবার ফের দু’দেশের সম্পর্কের দূরত্ব মেটাতে আগ্রহ প্রকাশ করলেন ইমরান। তার জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে টেলিভিশন-বিতর্কে অংশ নিতেও রাজি তিনি।

মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাশিয়ায় একটি সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকার এমনটাই জানালেন পাক প্রধানমন্ত্রী। এই বিতর্কের মাধ্যমে দু’দেশের মধ্যকার বিভিন্ন মতপার্থক্য নিরসন করতে চান বলে উল্লেখ করেন ইমরান খান।

রাশিয়া টুডেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইমরান খান বলেন, টেলিভিশনে আমি নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সরাসরি বিতর্কে অংশ নিতে পারলে খুব খুশি হবো। তিনি বলেন, এটা দু’দেশের কোটি কোটি মানুষের জন্যই সুফল বয়ে আনবে। কারণ তিনি মনে করেন, এই বিতর্কের মাধ্যমে তারা দুজন অনেক মতপার্থক্যের সমাধান করতে পারবেন।

তবে এ বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে ভারত পাকিস্তানকে একটি বিষয় স্পষ্ট করেছে যে, সন্ত্রাস এবং আলোচনা একসঙ্গে চলতে পারে না।

আরও পড়ুন: ফেসবুক পোস্টে পুলিশ যা করতে পারবেন, আর যা পারবেন না

এদিকে ইমরান খান অভিযোগ তুলেছেন যে, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক তিক্ত হয়ে উঠছে। সে কারণে তাদের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্যও কমতে শুরু করেছে। তিনি আরও বলেন, তার সরকারের নীতি হচ্ছে সব দেশের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক চালিয়ে যাওয়া।

প্রায় ২৩ বছর পরে রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন কোনও পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী। বুধবার ইমারনের রাশিয়ায় পৌঁছানোর কথা। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন তিনি।

উল্লেখ্য, পাকিস্তানের অর্থনীতি করোনা কালে আরও দুর্বল হয়ে পড়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে নিজেদের স্বার্থেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক গড়তে আগ্রহ দেখাচ্ছে পাকিস্তান। যদিও জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গি অনুপ্রবেশ তথা সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ আগের মতোই অব্যহত রয়েছে। এই অবস্থায় ভারতের বিদেশ মন্ত্রক আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছে। জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সন্ত্রাস ও শান্তি আলোচনা একসঙ্গে চলতে পারে না। পাকিস্তান ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ আন্তর্জাতিক জঙ্গিদের আশ্রয় দিচ্ছে বলেও অভিযোগ ভারতের। এই পরিস্থিতি ইমরানের আগ্রহকে ভারত কতটা আমল দেয়, সেটাই এখন দেখার বিষয়।