২২ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১০:০২

ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর নির্দেশ পুতিনের

ভ্লাদিমির পুতিন   © সংগৃহীত

পূর্ব ইউক্রেনে রুশপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রিত দুটি অঞ্চলকে স্বীকৃতি দেওয়ার পর সেখানে সেনা পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এ বিষয়ে কঠোর প্রতিবাদ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স।

বিবিসি জানায়, এরপর ওই অঞ্চলে বাণিজ্য ও অর্থায়নের উপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। একে আন্তর্জাতিক আইনের লংঘন বলে রাশিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাজ্য। বিষয়টিকে রাশিয়ার আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতির একতরফা লংঘন এবং ইউক্রেনের সার্বভৌমত্বের উপর আক্রমণ বলেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট।

ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ব্যাপক উৎকন্ঠার মধ্যে সোমবার পূর্ব ইউক্রেনে রুশপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রিত দুটি অঞ্চলকে স্বীকৃতি দেন রুশ প্রেসিডেন্ট। এ সংক্রান্ত এক ডিক্রিতে সইয়ের পর ওইদিনই সেখানে সেনা পাঠানোর নির্দেশ দেন পুতিন। এরপর নড়েচড়ে বসেন বিশ্বনেতারা।

আরও পড়ুন: ৩৩ দিন পর শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু আজ

হোয়াইট হাউসে শীর্ষ মার্কিন কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করে পূর্ব ইউক্রেনের রুশপন্থী দুটি অঞ্চলে বাণিজ্য ও অর্থায়নের উপর নতুন বিধিনিষেধ আরোপের পরিকল্পনার কথা জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। আজই এ সংক্রান্ত একটি নির্বাহী আদেশে সই করার কথা রয়েছে তার। রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরো ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দিয়ে বিষয়টি নিয়ে আজই জার্মান চ্যান্সেলর ও ফরাসি প্রেসিডেন্টে সঙ্গে বাইডেনের ফোনালাপ করার কথা জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।

পূর্ব ইউক্রেনের বিচ্ছিন্নতাবাদী অঞ্চলের স্বীকৃতিকে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন এবং ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব এবং অখন্ডতার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয়ে রাশিয়ার উপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

আরও পড়ুন: বাড়তি আয়ের জন্য পড়াশোনার পাশাপাশি ডাকাতি

পুতিনের সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। মস্কোর পদক্ষেপকে “অশুভ এবং একটি অত্যন্ত অন্ধকার লক্ষণ” বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে এ ব্যাপারে একটি জরুরি সভা ডাকার আহ্বান জানিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট।

রাশিয়ার স্ব-ঘোষিত স্বীকৃতির নিন্দা জানিয়ে এই পদক্ষেপকে ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখন্ডতা আরো ক্ষুণ্ন করবে বলে মন্তব্য করেছেন ন্যাটো মহাসচিব। বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আর্থিক ও সামরিক সহায়তার মাধ্যমে পূর্ব ইউক্রেনে সংঘাতে ইন্ধন দেওয়ার জন্য রাশিয়াকে দোষারোপ করেছেন তিনি।