স্ত্রী-মেয়ের অভিযোগে প্রধানমন্ত্রীত্ব হারালো পিন্টো
দায়িত্ব গ্রহণের তিন দিনের মাথায় সরিয়ে দেওয়া হলো পেরুর প্রধানমন্ত্রী হেক্টর ভেলার পিন্টোকে। দেশটির প্রেসিডেন্ট পেদ্রো কাসতিলো তাকে সরিয়ে দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে স্ত্রী ও মেয়ে ২০১৬ সালে পারিবারিক সহিংসতার ঘটনায় অভিযোগ আনেন। এ নিয়ে দেশজুড়ে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ার পরই ক্ষমতা হারালেন দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী।
প্রেসিডেন্ট পেদ্রো কাস্তিলো বলেন, আমি মন্ত্রিসভা পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ তাঁর এই বক্তব্যের অর্থ হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী হেক্টর ভ্যালার আর স্বপদে নেই।
টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে তিনি পরিবর্তনের কথা জানান। তবে তিনি সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর নাম উল্লেখ করেননি। বর্তমান সরকারে ভেলার পিন্টোর অবস্থানকে কেন্দ্র করে বিরোধীদের মধ্যে এমনকি মন্ত্রিসভার অনেক সদস্যই ক্ষুব্ধ ছিলেন।
আরও পড়ুন: দেশে নয়, এখন থেকে বিদেশে ছবি বানাব: হিরো আলম
যদি পেরুর প্রেসিডেন্ট দেশটির নতুন মন্ত্রিসভার ঘোষণা দেন তবে তিনি ক্ষমতা গ্রহণের পর গত ৬ মাসে এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো নতুন মন্ত্রিসভা পাবে দেশটি।
গত বৃহস্পতিবার ৬২ বছর বয়সী ভ্যালর পিন্টো প্রথম তোপের মুখে পড়েন। ওই দিন স্থানীয় সংবাদপত্রগুলো তাঁর নামে পারিবারিক সহিংসতার অভিযোগ এনে সংবাদ পরিবেশন করে। তাতে বলা হয়, ভ্যালর পিন্টোর স্ত্রী ও বিশ্ববদ্যালয়ে পড়ুয়া মেয়ে অভিযোগ করেছেন যে ২০১৬ সালে তিনি পারিবারিক সহিংসতা ঘটিয়েছিলেন।
এই সংবাদ প্রকাশের পর শুক্রবার কংগ্রেসের স্পিকার প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানান। একই সঙ্গে তিনজন মন্ত্রীও তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিজার ল্যান্ডা টুইটারে লিখেছেন, জনসেবার জন্য অভিযোগমুক্ত কর্মকর্তা প্রয়োজন।