দুই বছরে ৭ বিয়ে, স্বামীদের সর্বস্ব লুটে নেয়াই ছিল যার পেশা
বিয়ে করে স্বামীর সর্বস্ব লুট করাই ছিলা যার পেশা । ২ বছরে করেছেন সাতটি বিয়ে। আর বিয়ে করে অর্থকড়ি, টাকা পয়সাসহ স্বামীর সর্বস্ব লুটে নিতেন তিনি। এই কাজের জন্য রীতিমতো একটি চক্রই গড়ে ওঠে। ২৮ বছর বয়সী ঊর্মিলা আহারিবার ছিলেন সেই চক্রের প্রধান।
চক্রের সদস্যরা পাত্রপক্ষের কাছে নিজেদের পাত্রীর বাবা, মা, ভাই হিসেবেই পরিচয় দিতেন। ঠাটবাট, বেশভূষায় কোনো ভাবেই বোঝার উপায় ছিল না যে এটা বড়সড় একটা চক্র।
গত ২ ফেব্রুয়ারি জবলপুরে ৪১ বছর বয়সী দশরথ প্যাটেলকে বিয়ে করতে গিয়েই ফাঁদে পড়েন ঊর্মিলাসহ পুরো গ্যাং। মন্দিরে গিয়ে দশরথকে বিয়ে করেন ঊর্মিলা। তার কিছু ক্ষণ পরই নগদ টাকা এবং গয়না নিয়ে পালিয়ে যান। তবে এবার শেষ রক্ষা হয়নি। প্রথমে ধরা পড়েন ঊর্মিলার প্রতিবেশী অর্চনা। তার সূত্র ধরেই এক এক করে ঊর্মিলাসহ পুরো চক্রকে ধরেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনীর তালিকা থেকে বাদ পড়লেন জাকারবার্গ
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার শুক্রবার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মধ্যপ্রদেশের জবলপুরের ধনবন্তপুরের বাসিন্দা ঊর্মিলা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন । ২০ বছর বয়সেই অজয় আহিরবারের সঙ্গে বিয়ে হয়ে যায় ঊর্মিলার। কিন্তু বিয়ের কয়েক দিনের মধ্যেই মৃত্যু হয় অজয়ের। আচমকা স্বামীকে হারিয়ে বিপাকে পড়েন ঊর্মিলা।
শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে বাপেরবাড়ি চলে আসেন তিনি। সে সময় জামাকাপড় সেলাই করে নিজের খরচ চালাতেন তিনি। এই সময়ই ভাগচন্দ নামে এক যুবকের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। ওই যুবক রাজস্থানের বাসিন্দা। প্রতিবেশী অর্চনা বর্মণের মাধ্যমে এর পর শ্যাম নামে এক ব্যক্তির সঙ্গেও পরিচয় হয় ঊর্মিলার। তাদের দলে অমরসিংহ পটেল নামে এক ব্যক্তিও যোগ দেন। প্রত্যেকেরই টাকার প্রয়োজন ছিল। ফলে টাকা হাতানোর জন্য একটি অভিনব উপায় খুঁজে বের করেন তারা। গড়ে তোলেন একটি দল।
যাদের বিয়ে হয়নি কিন্তু বয়স বেশি এমন পুরুষদের খুঁজে বের করতেন তারা। তার পর ঊর্মিলাকে পাত্রী সাজিয়ে, বাকি সদস্যরা ঊর্মিলার আত্মীয় সেজে পাত্রের বাড়িতে হাজির হতেন। ঊর্মিলার প্রথম শিকার ছিলেন রাজস্থানের এক ব্যক্তি। বিয়ের চার মাসের পর সুযোগ বুঝে নগদ ২০ হাজার রুপি এবং গয়না নিয়ে চম্পট দেন ঊর্মিলা।