০২ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৫:২২

২০২২ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পেলেন যারা

নোবেল শান্তি পুরষ্কার  © সংগৃহীত

চলতি বছরে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারে যারা মনোনয়ন পেয়েছেন তাদের সম্ভাব্য তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। এ তালিকায় প্রাথমিক বাছাইয়ে উঠে এসেছে পোপ ফ্রান্সিসসহ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নাম।

সোমবার (৩১ জানুয়ারি) প্রকাশিত সম্ভাব্য তালিকায় ব্রিটিশ পরিবেশবিষয়ক টিভি সাংবাদিক ডেভিড অ্যাটেনবার্গ এবং বেলারুশের ভিন্নমতাবলম্বী নেতা সভেৎলানা সিনোস্কায়ার নাম রয়েছে।

আরও পড়ুন: আরও এক সপ্তাহ বাড়ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি: শিক্ষামন্ত্রী

এক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছে, প্রায় দুই বছর ধরে চলা করোনা মহামারির কারণে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নামটি এবার সবচেয়ে বেশি আলোচনায় এসেছে। এখনও মহামারি নিয়ে আন্তর্জাতিক সংস্থাটি কাজ করে যাচ্ছে। এ কারণে চলতি বছরের শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মনোনয়ন পেয়েছে।

তালিকায় আরও রয়েছেন ডেনমার্কের আলোচিত কিশোরী গ্রেটা থুনবার্গ, মিয়ানমার ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট, দ্বীপরাষ্ট্র টুভ্যালুর পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইমন কোফ ও জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কাজ করা সংগঠন ফ্রাইডে ফর ফিউচার মুভমেন্ট।

নরওয়েজিয়ান আইনপ্রণেতারা শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের একটি তালিকা তৈরি করে। দীর্ঘদিনের প্রথা অনুযায়ী নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি শান্তিতে নোবেলজয়ীদের নাম প্রকাশ করে, কিন্তু তারা এই বিষয়ে কিছু জানায়নি।

প্রায় অর্ধশতক ধরে পুরস্কার ঘোষণার আগে মনোনীতদের পরিচয় গোপন রেখে আসছে কমিটি। কিন্তু মনোনয়নের কাজে সহায়তা করা নরওয়েজিয়ান আইনপ্রণেতারা কিছু নাম প্রকাশ করে থাকেন। সোমবার বিশ্বব্যাপী আলোচিত বেশ কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম প্রকাশ করেছে তারা।

গতবছর নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছেন দুই সাংবাদিক মারিয়া রেসা এবং দিমিত্রি মুরাতফ। গণতন্ত্র এবং দীর্ঘস্থায়ী শান্তির পূর্বশর্ত মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষার প্রচেষ্টার জন্য তাদের এ পুরস্কার দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: বাবাহারা অসুস্থ মায়ের একমাত্র সন্তান ছিলেন হিমেল

মারিয়া রেসা ও দিমিত্রি মুরাতভ ফিলিপিন্স এবং রাশিয়ায় মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষায় সাহসী লড়াইয়ের জন্য নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছেন।মারিয়া রেসার জন্ম ১৯৬৩ সালের ২ অক্টোবর ফিলিপিন্সের ম্যানিলায়। আর দিমিত্রি আন্দ্রেইভিচ মুরাতভের জন্ম রাশিয়ায় সামারায় ১৯৬১ সালে।

এর আগে ২০২০ সালে পুরস্কারটি পেয়েছিল জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)। সুইডিশ বিজ্ঞানী, ব্যবসায়ী ও মানবহিতৈষী আলফ্রেড নোবেল যে পাঁচটি পুরস্কারের প্রবর্তন করেছিলেন এটি তার একটি। কিন্তু এর রাজনৈতিক প্রকৃতির কারণে বিভিন্ন সময়ে এ পদক অন্য পাঁচটি ক্যাটাগরির চেয়ে অনেক বেশি বিতর্ক তৈরি করেছে।