ওমিক্রনে পেছালো নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর বিয়ে
করোনার নতুন ধরণ ওমিক্রনের কারণে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরর্ডানের বিয়ের অনুষ্ঠান পেছানো হয়েছে। রোববার (২৩ জানুয়ারি) সাংবাদিকদের কিউই প্রধানমন্ত্রী নিজেই একথা জানিয়েছেন।
বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি একটি বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ৯ জন করোনার অতিসংক্রামক ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হন। এরপরই রোববার মধ্যরাত থেকে বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক ব্যবহার এবং জনসমাগমের ওপর বিধিনিষেধ আরোপের সিদ্ধান্ত নেয় নিউজিল্যান্ডের প্রশাসন।
রোববার সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আমার বিয়ের অনুষ্ঠানও হচ্ছে না। একই ধরনের পরিস্থিতিতে পড়া সবার জন্যই তিনি দুঃখিত বলেও জানান কিউই প্রধানমন্ত্রী। আরডার্ন অবশ্য তার বিয়ের তারিখ প্রকাশ করেননি। তবে শিগগিরই তার বিয়ের অনুষ্ঠান আয়োজন করা হতে পারে বলে গুজব ছিল।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবির আন্দোলনে থাইল্যান্ডের শিক্ষার্থীদের সংহতি
দীর্ঘদিনের সঙ্গী ও জনপ্রিয় টেলিভিশন উপস্থাপক ক্লার্ক গেফোর্ডের সঙ্গে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্নের বাগদান হয় দুই বছরেরও বেশি সময় আগে। তারপর তাদের বিয়ে কথা থাকলেও নানা কারণে তা পিছিয়ে যায়। অবশ্য বিয়ে না হলেও নেভ নামে তাদের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে।
২০১৮ সালের জুন মাসে জেসিন্ডা আরডার্ন প্রথম সন্তানের জন্ম দেন। বিশ্বের ইতিহাসে প্রধানমন্ত্রীর মতো পদে থেকে মা হওয়ার দ্বিতীয় ঘটনা ছিল এটি। প্রথম জন ছিলেন পাকিস্তানের দুই বারের প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো।
আরও পড়ুন: আরব আমিরাতকে উড়িয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে টাইগার যুবারা
এর আগে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছিল, ২০১২ সালে একটি পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে জেসিন্ডা আরডার্ন ও ক্লার্ক গেফোর্ডের প্রথম দেখা হয়েছিল।
২০১৯ সালে ১৫ মার্চ নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের আল নুর মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার পর নেয়া দেশটিতে মুসলমানদের জন্য বিভিন্ন দপক্ষেপ নেয়ার জন্য জাসিন্ডা সারা বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। ক্রাইস্টচার্চে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ৫০ জনকে হত্যার পর জেসিন্ডা আরর্ডানকে নতুন করে চেনে বিশ্ব। এই ঘটনার অভিযুক্তকে কোনো কার্পণ্য না করেই সন্ত্রাসী ও জঙ্গি হিসেবে অভিহিত করেন তিনি।