লকডাউনে দুই বছর বন্ধ থাকার পর স্কুল খুলেছে উগান্ডায়
কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে দুই বছর বন্ধ থাকার পর গতকাল সোমবার (১০ জানুয়ারি) প্রথমবারের মতো স্কুলগুলো খুলে দিয়েছে উগান্ডা। এর মধ্যে দিয়ে বিশ্বে সবচেয়ে দীর্ঘসময় স্কুল বন্ধের ঘটনার অবসান ঘটল।
যদিও অনেকেই শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরে আসাকে স্বাগত জানিয়েছেন, তবু কমসংখ্যক শিক্ষার্থীর উপস্থিতি, শিক্ষাব্যবস্থার ওপর স্কুল বন্ধের ঘটনার দীর্ঘমেয়াদি প্রভাবের বিষয়ে শঙ্কার সৃষ্টি করেছে।
এটি উগান্ডায় আবার স্কুল খুলে দেওয়ার প্রথম দিন এবং শিক্ষার্থীরা ক্লাসে যোগ দিচ্ছে। আবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য প্যাকেটকৃত খাদ্যসামগ্রী ছাড়াও মাস্ক ও স্যানিটাইজারের মতো জিনিসগুলোও ফিরে আসা শিক্ষার্থীদের জন্য বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
করোনাভাইরাস মহামারীর শুরুতেই, ২০২০ সালের মার্চ মাসে স্কুলগুলো বন্ধ করে দেয় উগান্ডা। তখন প্রায় ১ কোটি ৫০ লাখ শিক্ষার্থী স্কুলে পড়াশোনা করত।
গ্রেস নার্সারি ও প্রাইমারি স্কুলে একটি ক্লাস চলছে। কিন্তু প্রধান শিক্ষক নাসোজি ডিভাইন কাকেম্বো জানান, পুরনো শিক্ষার্থীদের সবাই ক্লাসে ফিরে আসেনি।
বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জন্য পরিচালিত প্রাইমানা স্কুল কিটেজি সেন্টারের প্রধান শিক্ষক বাকুম্বি কাওথার বলেন, মহামারী অনেক শিশুর জীবনই পাল্টে দিয়েছে।
কায়াগা ডোরিন তার আট বছর বয়সী মেয়েকে কিটেজি স্কুলে নিয়ে এসেছেন। তিনি নিজের আর্থিক অবস্থা নিয়ে চিন্তিত, তারপরও নিজের উৎসাহকে লুকাতে পারছিলেন না।
উয়েজো উগান্ডার নির্বাহী পরিচালক মেরি গোরেটি নাকাবুগো উল্লেখ করেন, স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেক শিক্ষার্থীই মৌলিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। অলাভজনক এই সংস্থা সমতাভিত্তিক মানসম্মত শিক্ষার প্রসারে কাজ করে থাকে।
উয়েজো বলেন, বন্ধ থাকার সময় বেশির ভাগ শিশুরই পড়াশোনায় যে দীর্ঘ বিরতি হয়েছে, সেটি বিবেচনায় বেশির ভাগ বাবা-মাই তাদের বাচ্চাদের স্কুলে ফিরে যেতে দেখার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন।
সূত্র: ভয়েস অব আমেরিকা বাংলা