ওমিক্রন ফুসফুসে ছড়ায় না: গবেষণা
করোনাভাইরাসের সাউথ আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনে মৃদু সংক্রমণ হয় বলে জানিয়েছে গবেষকরা। তবে অন্যান্য ধরনগুলোর তুলনায় এটি খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে সক্ষম। হংকং ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক ওমিক্রন নিয়ে করা গবেষণার খসড়া প্রকাশ করেছেন। যা এখনো আন্তর্জাতিক পর্যালোচনা হয়নি। এমন খবর প্রকাশ করেছে আল জাজিরা।
এই গবেষণায় বলা হয়, শ্বাসনালীতে করোনার ডেল্টা ধরনের তুলনায় ওমিক্রন ৭০ গুণ বেশি রূপান্তর হয়। কিন্তু ফুসফুসে এই ধরনটি তেমন সংক্রমণ ঘটাতে পারে না। করলেও খুব ধীরগতিতে।
গবেষকদের মতে, শুরুর দিকে ছড়িয়ে পরা করোনাভাইরাসের তুলনায় ওমিক্রন ফুসফুসে সংক্রমণ সৃষ্টির ক্ষেত্রে অনেক ধীরগতির। অন্তত ১০ গুণ ধীরগতি হবে। এতেই বুঝা যায় ওমিক্রনের সংক্রমণ মৃদু।
এই গবেষণার নেতৃত্বে থাকা ডক্টর মাইকেল চ্যান বলেন, করোনাভাইরাস মহামারি শুরু পর থেকেই আমরা দেখেছি যে, ভাইরাসটি ফুসফুসে সংক্রমণ সৃষ্টি করার পরেই মারাত্মক মৃত্যুঝুঁকি সৃষ্টি হয়। সংক্রমণ ফুসফুসে না হয়ে শ্বাসনালীর ওপরের অংশে হলে ঝুঁকি অনেক কম থাকে।
ওমিক্রনের ক্ষেত্রে আমরা দেখলাম, শ্বাসনালীর ওপরের অংশে সংক্রমণ হয়। ফুসফুসে এই ধরণ সংক্রমণ ঘটাতে অনেক সময় নেয়। তবে প্রাপ্ত ফলাফল দেখে আমাদের নিশ্চিন্ত হওয়ার কিছু নেই। কারণ দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা না থাকলে বিপদ যেকোনো ভাবেই আসতে পারে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
ফুসফুসে না হয়ে শ্বাসনালীর ওপরের অংশে ওমিক্রনের সংক্রমণের বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করেছে স্কটল্যান্ডের একদল গবেষক।
এতে বলা হয়, ফুসফুসে এক ধরনের প্রোটিন কোষ থাকে। যার নাম টিএমপিআরএসএস২। অতীতে এই প্রোটিনের মাধ্যমেই করোনাভাইরাস ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটিয়েছে।
কিন্তু ওমিক্রন টিএমপিআরএসএস২’র ভেতরে প্রবেশ করে সংক্রমন সৃষ্টি করতে পারছে না। যার কারণে করোনার এই ধরনটি ফুসফুসে অন্যান্য ধরনের তুলনায় তেমন প্রভাব ফেলতে পারছে না।