একাধিক ছাত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক, স্বীকার করলেন অভিনেতা
মার্কিন অভিনেতা জেমস ফ্রাঙ্কো স্বীকার করেছেন, তার যৌন আসক্তি আছে। অভিনয় শেখার স্কুলের ছাত্রীদের সঙ্গে যৌন অসদাচরণের অভিযোগ ওঠার দীর্ঘ সময় পর তা স্বীকার করলেন অস্কারে মনোনয়ন পাওয়া এই অভিনেতা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
এখন থেকে প্রায় চার বছর আগে তার বিরুদ্ধে প্রথম এমন অভিযোগ উঠেছিল। এ বিষয়ে স্বীকারোক্তিতে তিনি বলেছেন, অভিনয় বিষয়ক একটি স্কুল পরিচালনা করতেন তিনি। সে সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঘুমিয়েছেন। তখন তার ছিল প্রচণ্ড যৌন আসক্তি।
আরও পড়ুন: ছাত্রীকে যৌন হয়রানি, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তিনি সেই আচরণ উন্নত করার জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। ‘দ্য জেস ক্যাগল পোডকাস্ট’-এ বুধবার তার এসব স্বীকারোক্তির অংশবিশেষ তুলে ধরেছে। এতে বলা হয়েছে, ফ্রাঙ্কো অভিনয় শিক্ষা দেয়ার সময়কালে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঘুমাতেন এবং এটা ছিল তার অন্যায়।
তবে তিনি যৌনতার উদ্দেশে নারীদের প্রলুব্ধ করার জন্য ওই স্কুল চালু করেননি। জেমস ফ্রাঙ্কো বলেছেন, ওই সময় আমি মনে করতাম, এ যৌন সম্পর্ক হতো উভয়ের সম্মতিতে। তখন আমার মাথা ঠিকমতো কাজ করতো না।
এখন থেকে প্রায় চার বছর আগে লস অ্যানজেলেস টাইমস একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে। তাতে বলা হয়, পাঁচজন নারী জেমস ফ্রাঙ্কোর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। তারা বলেছেন, তাদের সঙ্গে যে আচরণ তিনি করেছেন তা ছিল অনভিপ্রেত। পরে ২০১৯ সালের অক্টোবরে এই অভিনেতার বিরুদ্ধে মামলা করেন দু’জন নারী। এতে তারা বলেন, বর্তমানে তার অকার্যকর সেই অভিনয় প্রশিক্ষণের স্কুলে নারীদের তিনি বিপথগামী করেছেন। যুবতীদেরকে ভয়াবহ যৌন দৃশ্যে অভিনয় করতে প্ররোচিত করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: জবি ছাত্রীকে যৌন হয়রানি: ৩ দিনের রিমান্ডে গ্রেপ্তার হওয়া সেই যুবক
জেমস ফ্রাঙ্কো বলেছেন, অল্প বয়সেই তিনি এলকোহল বা মদে আসক্ত হয়ে পড়েন। এতে তার মধ্যে প্রচণ্ড মদ্যপানের নেশা চলে আসে। ফলে আস্তে আস্তে তিনি যৌনতায় আসক্ত হয়ে পড়েন। ফ্রাঙ্কো বলেন, এ এক শক্তিশালী ড্রাগ। ২০ বছরের বেশি সময় আমি একে সঙ্গী করে চলছিলাম।
২০১১ সালে অস্কার অনুষ্ঠানের সহ-উপস্থাপক ছিলেন জেমস ফ্রাঙ্কো। ২০১২ সালে ১২৭ ঘন্টা পারফরমেন্স করার জন্য মনোনীত হয়েছিলেন এ পুরষ্কারে। তিনি স্বীকার করেছেন এ বছরে তিনি ২০১৯ সালের ওই মামলা নিষ্পত্তি করতে ২২ লাখ ডলার খরচ করেছেন। ২০১৬ সাল থেকে তিনি যৌন আসক্তি থেকে মুক্তি পাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কাজ করছেন প্রচুর। তিনি বলেন, আমি আর কোনো মানুষকে আহত করতে চাই না।