‘মেয়েদের বিয়ে দেওয়া উচিত ১৬ বছরেই, বড় হলেই পর্ন দেখে ওরা’
মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স নিয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের বিরোধিতায় সরব হয়েছেন উত্তরপ্রদেশের সমাজবাদী পার্টির একের পর এক সাংসদ। বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন আবু আজমি, শফিকুর রহমান বকর। এবার একই পথে হেঁটে বিতর্কিত মন্তব্য করলেন সমাজবাদী পার্টির সাংসদ এসটি হাসান।
তার বক্তব্য, মেয়েরা সন্তান জন্ম দেওয়ার বয়সে পৌঁছে গেলেই ১৬ বছর বয়সে তাদের বিয়ে দিয়ে দেওয়া উচিত। পাশাপাশি তার আরও দাবি, মেয়েরা বড় হয়ে গেলে পর্নোগ্রাফি দেখে অনুশাসনহীন হয়ে যায়।
সম্প্রতি ভারতের সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে হাসান বলেন, মহিলাদের প্রজননের বয়স ১৬-১৭ বছর থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত। ১৬ বছর বয়স থেকেই বিয়ের প্রস্তাব আসতে শুরু করে। বিয়েতে দেরি হলে এর দুটি ক্ষতি হয়, একটি হল বন্ধ্যাত্বের সম্ভাবনা। দ্বিতীয়টি হল যখন একজন বৃদ্ধ হয়ে যায়, তখনও সন্তানকা নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে পারে না। এমনকি আপনি যখন আপনার জীবনের শেষ দশকে আছেন, তখনও আপনার সন্তানেরা ছাত্রই থেকে যায়। আমরা প্রাকৃতিক প্রক্রিয়াকে ভেঙে দিচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, আমি একমত যে একটি মেয়ে যখন পরিণত হয় এবং প্রজনন বয়সে পৌঁছায়, তখন তার বিয়ে করা উচিত। একটি মেয়ে ১৬ বছর বয়সে পরিপক্কতা অর্জন করলে, তাকে ১৬ বছর বয়সে বিয়ে করা যেতে পারে। তিনি যদি ১৮ বছর বয়সে ভোট দিতে পারেন তবে কেন তিনি বিয়ে করতে পারবেন না? শিশুরা যখন বড় হয়, তখন তারা অশ্লীল ভিডিও এবং ছবি দেখতে শুরু করে তখন শৃঙ্খলাহীনতা বাড়ে।
এদিকে, সাংসদদের এহেন বিতর্কিত মন্তব্যের পর অস্বস্তিতে পড়েছেন সমাজাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব। তাকে অবশ্য এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তার বক্তব্য, সাংসদদের বক্তব্যের সঙ্গে দলের মত এক নয়।
তিনি বলেন, এ ধরনের কোনও বক্তব্যের সঙ্গে সমাজবাদী পার্টির কোনও সম্পর্ক নেই। সমাজবাদী পার্টি একটি প্রগতিশীল দল এবং মেয়েদের ও মহিলাদের উন্নতির জন্য পরিকল্পনা চালু করেছে।
সূত্র: হিন্দুস্থান টাইমস বাংলা