সাবেক সহকর্মীকে নিপীড়নের অভিযোগ, পদত্যাগ অস্ট্রেলিয়ার শিক্ষামন্ত্রীর
সাবেক সহকর্মীকে নিপীড়নের অভিযোগে পদত্যাগ করেছেন অস্ট্রেলিয়ার শিক্ষা ও যুবমন্ত্রী অ্যালান টুজ।বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন পার্লামেন্টকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে তাকে পদত্যাগের অনুরোধ করলে তাতে তিনি সাড়া দিয়েছেন । এ খবর দিয়েছে এবিসি অস্ট্রেলিয়া নিউজ ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শিক্ষামন্ত্রীর সাবেক মিডিয়া উপদেষ্টা রাচেল মিলার শারীরিক নিপীড়নের অভিযোগটি করেন।
রাচেল মিলার তার অভিযোগে বলেছেন, ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার কালগোর্লিতে সরকারি কাজে ভ্রমণের সময় এক রাতে টুজ তাকে একটি নাইটক্লাবে নিয়ে প্রচুর মদ্যপান করতে উৎসাহিত করেছিলেন। মদ্যপানের পরে তার ওপর শারীরিক নিপীড়ন করা হয়েছে।
মিলার ওই রাতের ঘটনার বর্ণনায় বলেছেন, ভোর প্রায় ৪টা বাজে তখন একটি মিডিয়ার ফোন কলে আমার ঘুম ভাঙে। কিন্তু ফোনে কথা বলার সময় টের করলাম, কেউ আমার নিতম্ব এবং পায়ের পাশে লাথি মারছে। যখন আমি উঠে বসার চেষ্টা করছিলাম তখন দেখলাম তিনি মন্ত্রী। তিনি প্রচণ্ড রেগে আমাকে তার বিছানা থেকে নেমে যেতে বললেন। বুঝতে পারলাম তখন আমি সম্পূর্ণ নগ্ন। আমার ফোন তার ঘুম নষ্ট করেছে বলে চিৎকার করে তিনি আমাকে লাথি মারতে থাকলেন যতক্ষণ না আমি বিছানার পাশ থেকে মেঝেতে পড়ে যাই।
এদিকে শুক্রবার সংসদ ভবনে মিডিয়ার সামনে দেওয়া এক বিবৃতিতে মিলারের করা দুর্ব্যবহারের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন দেশটির শিক্ষা ও যুবমন্ত্রী অ্যালান টুজ। পাশাপাশি তিনি এ বিষয়ে তদন্তে সব উপায়ে সহযোগিতা করবেন বলে মত দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী গণমাধ্যমকে বলেছেন, মিলারের দাবির গুরুত্বের পরিপ্রেক্ষিতে এই বিষয়গুলি ন্যায্যভাবে এবং দ্রুত সমাধান করা জরুরি দরকার।
উল্লেখ্য, এ ঘটনার বছরখানেক আগে সাবেক উপদেষ্টা মিলার এবিসি নিউজের 'ফোর কর্নারকে দেয়া সাক্ষাৎকারে একই মন্ত্রীর সঙ্গে তার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কথা স্বীকার করেছিলেন।