১০ নভেম্বর ২০২১, ১২:১৯

শিক্ষার্থীদের করোনা হলে দায় নেবে না স্কুল

শিক্ষার্থীদের করোনা হলে দায় নেবে না স্কুল  © সংগৃহীত

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে দীর্ঘ দেড় বছর পর আগামী ১৬ নভেম্বরে খুলছে সকল স্কুল-কলেজ। কিন্তু স্কুলে এসে যদি কোনও শিক্ষার্থী সংক্রমিত হয় তার দায়ভার নেবেন না স্কুল কর্তৃপক্ষ। স্কুল খোলার আগে এমন নোটিস দিয়ে অভিভাবকদের সতর্ক করে দিয়েছে রাজ্যের বেশিরভাগ স্কুল-কলেজ।

এই নোটিশ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যজুড়ে চলছে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা।

স্কুল কর্তৃপক্ষ বলছেন, শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্য-বিধি মানছে কি না, তা দেখার দায়িত্ব অভিভাবকদেরও। অপরদিকে অভিভাবকরা প্রশ্ন তুলেছেন, এই নোটিস দিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ আসলে নিজেদের দায়িত্ব এড়ানোর চেষ্টা করছে। তাদের মতে, স্কুলে গিয়ে শিক্ষার্থীরা কী করছে, সে দিকে নজরদারি করা অভিভাবকদের পক্ষে পুরোপুরি সম্ভব নয়। তাই তারা বলছেন স্কুল তাদের দায় কোনও ভাবেই এড়াতে পারেন না। অন্যদিকে স্কুল কর্তৃপক্ষও জবাবে পাল্টা প্রশ্ন করেছেন কোভিড-কালে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যের দায়ভার কেন শুধু তারাই নেবেন।

তবে শ্রী শিক্ষায়তনের মহাসচিব ব্রততী ভট্টাচার্য আনন্দবাজারকে জানিয়েছেন, তাদের স্কুলে যাবতীয় করোনা-বিধি মেনে ক্লাস চলবে। এমনকি, স্কুলে কোনও শিক্ষার্থীর জ্বর এলে থাকছে আইসোলেশন রুমও। স্কুলে মাস্ক পরা, জীবাণুমুক্ত করা সংক্রান্ত সব বিধিই মেনে চলা হবে।

ব্রততীদেবী আরও বলেন, শিক্ষার্থীরা তো শুধু স্কুলে থাকছে না। তারা গাড়ি করে স্কুলে আসছে। স্কুল ছাড়াও বাইরে বেরোচ্ছে। তাই কোনও শিক্ষার্থীর করোনা হলে তার দায় কেন স্কুল নেবে? অভিভাবকদের জানিয়েছি, এটা একটা টিম ওয়ার্ক। স্কুল যেমন দেখবে কভিড-বিধি মানছে কি না, তেমনই স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে তারা স্বাস্থ্য-বিধি মানছে কি না, তা দেখার দায়িত্ব অভিভাবকদেরও।

এর আগে ২৫ অক্টোবরে সরকার ঘোষণা করে আগামী ১৬ নভেম্বর থেকে পশ্চিমবঙ্গে সমস্ত স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়া হবে। তবে অফলাইনে ক্লাস করতে পারবে শুধুমাত্র নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা। পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণির ক্লাস হবে অনলাইনে।

এ বিষয়ে রাজ্য সরকার জানিয়েছে, পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রদের আপাতত স্কুলে আসতে দেওয়া হবে না। তাদের যেমন অনলাইন ক্লাস চলছে, তেমনই চলবে।